দেশেরসময় ওয়েব ডেস্কঃ পুলওয়ামার সিআরপিএফ কনভয়ের উপর আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই, চার দিনের মাথায় পুলওয়ামা হামলার প্রতিশোধ নিল সেনাবাহিনী। গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড, জৈশ কমান্ডার কামরান এবং তার এক শাগরেদ। সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন এক মেজর সহ চার সেনাকর্মী। সোমবার একথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সোমবার রাত একটা নাগাদ পুলওয়ামা জেলার পিঙ্গলান গ্রামের একটি বাড়িতে কয়েকজন জঙ্গির আত্মগোপন করে থাকার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে অভিযান চালায় ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস্‌, সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিসের এসওজি। গুলির লড়াইয়ের সময় শহিদ হন ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই ৪ জওয়ান। শহিদদের মধ্যে একজন মেজরও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শহিদরা সবাই ভারতীয় সেনার ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ব্যাটেলিয়নের। এছাড়াও ২ জন জওয়ান আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। কনভয়ে হামলার ৬-৮ কিলোমিটারের মধ্যেই হয়েছে এই গুলির লড়াই।

সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার পর কনভয় ঘিরে ধরে গুলিও চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এই হামলার পর গোপন সূত্রে সেনা খবর পায়, পুলওয়ামাতেই এখনও লুকিয়ে আছে বেশ কিছু জঙ্গি। এই খবর পেয়েই গোটা এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন জওয়ানরা। সঙ্গে ছিলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানরাও। স্থানীয় সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন, পুলওয়ামার পিংলান এলাকায় ২-৩ জন জঙ্গি লুকিয়ে আছে।

অন্যদিকে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার পর সিআরপিএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার কথা ভাবছে তারা। তাদের কনভয়ে আরও বিভিন্ন রকমের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন সিআরপিএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল আর আর ভাটনাগর। এছাড়াও কনভয়ের সময়, কনভয় চলাকালীন বিশ্রাম নেওয়া এবং কনভয় চলাকালীন পুলিশ ও সেনার সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রাক্তন এক সেনাকর্তা এই ব্যাপারে জানিয়েছেন, “পুলওয়ামার এই ঘটনার পর থেকে ভারতীয় সেনা ‘সার্চ অ্যান্ড ডেসট্রয়’ অপারেশন শুরু করেছে। গোটা কাশ্মীর জুড়ে খুঁজে প্রত্যেকটা জঙ্গিকে মারা হবে। তাই এই অপারেশনে আমাদের জওয়ানরাও শহিদ হবেন। তাঁরা এটা জেনেই এই কাজ করছেন। মরতে আমরা ভয় পাই না। কিন্তু একটা জঙ্গিকেও ছাড়া হবে না। ইন্ডিয়ান আর্মি, সিআরপিএফ ও জম্ম-কাশ্মীর পুলিশ একসঙ্গে সব অভিযান করবে।”

এলাকা ঘিরে রয়েছেন জওয়ানরা। তল্লাশি চলছে জোরকদমে। জওয়ানদের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও মতেই জঙ্গিদের সেখান থেকে পালাতে দেওয়া হবে না। গুলি বিনিময়ে শহিদ জওয়ানদের নাম অবশ্য এখনও জানানো হয়নি।

সেনা সূত্রে খবর, এখনও গুলির লড়াই চলছে। পুরো এলাকা ঘিরে রয়েছেন জওয়ানরা। তল্লাশি চলছে জোরকদমে। জওয়ানদের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও মতেই জঙ্গিদের সেখান থেকে পালাতে দেওয়া হবে না। গুলি বিনিময়ে শহিদ জওয়ানদের নাম অবশ্য এখনও জানানো হয়নি।


তবে সেখানে ২-৩ জনের থেকে বেশি জঙ্গি ছিল বলেই জানা গিয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে। রাতভর চলে এই গুলি বিনিময়। জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়ে থাকায় জওয়ানদের পক্ষে রাতের অন্ধকারে তাদের অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়ছিল। এই গুলি বিনিময়ের সময় অফিসার-সহ চার জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া একজন সাধারণ মানুষও এই গুলিবিনিময়ের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন বলে খবর।
যে বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল, দু’‌পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে সেই বাড়ির গৃহকর্তার। বাড়িটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাহিনী। এখনও চলছে গুলির লড়াই। অন্যদিকে রবিবার গভীর রাতে পুঞ্চেও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিগোলা ছোড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। ‌‌‌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here