দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। তারপর থেকেই জল্পনা . সভা থেকেই কি নিজের পরবর্তী গন্তব্যের কথা জানাবেন তিনি? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

জানা গিয়েছে, রবিবার তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির ব্যানারে এই সভা হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভা উপলক্ষে এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শুভেন্দু নিজে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। সেই সভার দিকেই আপাতত চেয়ে আছে রাজনৈতিক মহল।

অপরদিকে, কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী বৃহস্পতিবারই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তৃণমূল ছাড়ছেন তিনি। আর শুক্রবারই কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মিহির। শুক্রবার সন্ধেতে বিজেপির সদর দফতরে মিহির গোস্বামীর হাতে বিজেপির সদস্যপদ তুলে দেন বাংলা বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ৷

এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই মিহির বলেন, ‘বিজেপিতে যোগদান করে আনন্দিত বোধ করছি। গত ৩ অক্টোবর তৃণমূলের যাবতীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। বাংলায় এখন অনাচার চলছে। দুর্নীতি ও ঠিকাদারি সংস্থার রাজত্ব কায়েম হয়েছে। উত্তরবঙ্গকে বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই এটা আমার ধর্মযুদ্ধ। আমরা নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সুদিন দেখতে পাব, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই ফেসবুকে মিহির লিখেছিলেন, ‘প্রায় দুমাস হতে চলল আমি যেমন নিজের বিবেকের সঙ্গে ও নিজের যুক্তিবোধের সঙ্গে চিন্তন-মন্থন করেছি তেমনই আমার ভাবনাকে মানুষের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত শেয়ার করেছি। যে সব মানুষ আমার ভাবনাকে যুক্তিযুক্ত ভেবে স্বাগত জানিয়েছে, তাঁদের উদ্দেশ্যেই আবার বলি, গত দশ বছর যে তৃণমূল দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত ও অপমানিত হয়েছি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নীরব ও প্রচ্ছন্ন মদত জুগিয়ে গিয়েছেন। বাইশ বছর আগে যে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম, আজকের তৃণমূল সেই দল নয়। এই দলে আমার জায়গা নেই। তাই আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা করছি, আমার দীর্ঘদিনের সাথী বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মার্জ্জনা করবেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here