কুন্তল চক্রবর্তী, কলকাতাঃ রথের সন্ধ্যায় চাঁদের হাট বসেছিল কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে। নুসরত জাহানের বিয়ের রিসেপশন বলে কথা!

এক দিকে, তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ডাকসাইটে নায়িকা। অন্য দিকে, বসিরহাট থেকে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। ভোটে জেতার ঠিক পরে পরেই তুরস্কে গিয়ে বিয়ে পর্ব সেরে এসেছেন।

সেখানে বাংলা থেকে সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ছাড়া কেউই আমন্ত্রিত ছিলেন না। মূলত দুই বাড়ির সদস্যদের নিয়েই বিয়ে সেরেছেন নুসরত জাহান ও নিখিল জৈন। বিয়ের পরে পরেই সংসদে শপথগ্রহণ এবং সংসদীয় জীবনের প্রথম অধিবেশনের মধ্যেই বিয়ের রিসেপশন।

সেই রিসেপশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাজনীতি জগতের গণ্যমান্যরা অনেকেই ছিলেন হাজির।

আর টলিউডের কে নেই! প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে কলা-কুশলী সকলকেই দেখা গিয়েছে নুসরতের রিসেপশনে। সন্ধে পার করে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠছে অনুষ্ঠান। আর সেখানে মেরুন রঙের লেহেঙ্গায় সুন্দরী নুসরত যেন আরও সুন্দরী হয়ে উঠে ছিলেন।

গায়ে পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জমকালো জড়োয়া গয়না। পাশে নিখিল জৈনও কালো রঙের শেরওয়ানির জারদৌসি কাজে সমানে সমানে। এদিন সন্ধে থেকেই নুসরতের পাশে পাশে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আর এক অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তার পরনে ছিল কালো আর তুঁতে রঙের কম্বিনেশনে তৈরি ভারী কাজের লেহেঙ্গা।

এ দিন সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি নুসরতও নতুন স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে হাজির ছিলেন কলকাতার ঐতিহ্যপূর্ণ ইসকন রথের সূচনায়। এর পরে সন্ধ্যায় একেবারে অন্য রূপে ধরা দিলেন নব পরিণীতা।

সদ্য় সাংসদ ও সংসারী হওয়া অভিনেত্রীর রিসেপশনে অন্য মাত্রা আনল সাংবাদিক সম্মেলন। তাঁর বিয়ে থেকে রিসেপশন সব কিছু ঘিরেই ছিল কৌতূহল। আর তা মেটাতে সংবাদমাধ্যমও হাজির হয় অনুষ্ঠান আসরে। আর সেখানে স্বামী নিখিলকে পাশে নিয়ে কথা বলেন নুসরত। বললেন, এই বিয়েতে তিনি ও নিখিল একে অপরকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। আর এটাই তাঁদের পাওয়া বড় উপহার।

বিয়ের পরে চাপে আছেন নাকি নুসরত? এমন প্রশ্নের উত্তরে সপ্রতিভ নুসরত বললেন, “সারা জীবন এক জনের সঙ্গে থাকতে হওয়াটাই তো সব থেকে বড় চাপ।” পাশে থাকা নিখিল সঙ্গে সঙ্গেই বলে দেন, “চাপ হবে না।” এর পরেই খুনসুটির গলায় এক গাল হাসি দিয়ে নুসরত উপস্থিত সাংবাদিকদের সাক্ষী মেনে বলেন, “শুনলেন তো সবাই, আপনার সাক্ষী থাকবেন।” হাসির রোল ওঠে উৎসব প্রাঙ্গণে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here