দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ভরসা দিলেন, তারপর আর কী করে আর দূরে থাকতে পারেন! রবিবার প্রধানমন্ত্রীর রেডিওতে সম্প্রচারিত ‘মন কি বাত অনুষ্ঠান’ শোনার পরই মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার দুলারিয়া গ্রামের রাজেশ হিরাভে, কিশোরীলাল ধ্রুবে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নেন, গ্রামের অনেককেও নিতে সাহস দেন।

প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষণে করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কে মানুষের মন থেকে ভয় কাটাতে নিজের, এমনকী তাঁর প্রায় ১০০ বছরের কাছাকাছি বয়সের মায়ের উদাহরণ হাজির করেন। বলেন, গুজবে কান দেবেন না। বিজ্ঞান ও আমাদের বিজ্ঞানীদের ওপর ভরসা রাখুন। নির্ভয়ে ভ্যাকসিন নিন। আমি নিয়েছি। আমার মা-ও দুটো ডোজ নিয়েছেন।

রাজেশ ও ধ্রুবকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড ১৯ এর বিপদ এখনও বহাল রয়েছে। আমাদের ভ্যাকসিন নেওয়ায় যেমন জোর দিতে হবে, পাশাপাশি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত আচরণবিধিও।

৬০ বছরের কিশোরীলাল ধ্রুবের সঙ্গে মোদী কথা বলার পর তিনিও ভ্যাকসিন নেন। ধ্রুবের ছেলে রবীন্দ্র বলেন, ভ্যাকনিন নিয় বাবা এখন সবাইকে বলছেন, তোমরাও নিয়ে নাও।

দুলারিয়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কথোপকথন আজ মন কি বাতে শোনানো হয়। সেই গ্রামবাসীদেরই একজন ৪৩ বছরের রাজেশ হিরাভে।  পরে তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর আমিও পরিবারের বাকিদের সঙ্গে শনিবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিনের টিকা নিয়েছি।

অন্যদেরও ভ্যাকসিন নিতে উত্সাহ দিই। আমার কথা শুনে গ্রামের ১২৭ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তিনি এখন স্থানীয়দের দ্বিধা, ভীতি কাটিয়ে ভ্যাকসিন নিতে অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন বলে জানান রাজেশ। বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খুব ভাল লেগেছে। আনন্দ প্রকাশ করার ভাষা নেই। হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তাতেই লোকে ভ্যাকসিন  নিতে দ্বিধা বোধ করছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান রাজেশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here