মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে মৃত ১০ সদ্যোজাত

0
639

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুন লেগেছে মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে। আগুন পুড়ে মারা গিয়েছে ১০ সদ্যোজাত। আগুন লাগার পরে অন্তত সাত সদ্যোজাতকে বের করে আনা হয়েছে বলে খবর।

ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলায়। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, হাসপাতালের এক সিভিল সার্জেন প্রমোদ খান্ডাতে জানিয়েছেন, “শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ আগুন লাগে ওই হাসপাতালে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ১৭ জন নবজাতক ছিল। শনিবার রাতে হঠাতই এক নার্স সেইওয়ার্ড থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন। এর পরই দুর্ঘটনার আভাস পান তারা। ভান্ডারা জেলা জেনারেল হাসপাতালের সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউতে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে সাত শিশুকে সেখান থেকে বের করে আনা হয়। কিন্তু আগুনে পুড়ে ১০ সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে।”

যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা গেছে শিশুদের ওয়ার্ড থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখে ডিউটিতে থাকা নার্স তখনই খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এরপর সেখানে পৌঁছয় দমকলবাহিনীও। হাসপাতালের কর্মীদের নিয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করেন তারা। শিশু বিভাগ থেকে ৭জনকে উদ্ধার করা গেলেও প্রাণ হারায় বাকি ১০। 

এদিকে সরকারি জেলা হাসপাতালের এই ঘটনায় শোকাহত পরিবার অভিযোগের আঙুল তুলেছিলে রাজ্য প্রশাসনের দিকেই। এই ঘটনার পরই হাসপাতালে এর তদন্তের দাবি জানিয়ে জমায়েত শুরু করেছে জনতা। হাসপাতালের অবহেলাকেই দায়ী করছেন তারা।

এই ঘটনার পরে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃত শিশুদের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে যে ধরনের সুরক্ষা বন্দোবস্ত থাকা উচিত তা ছিল না। সেই সঙ্গে হাসপাতালে কর্মীর সংখ্যাও অনেক কম ছিল। নইলে সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের বের করে আনা যেত। এই ঘটনায় যাদের গাফিলতি রয়েছে তাদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
অবশ্য এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতালের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। মহারাষ্ট্র সরকারও এই বিষয়ে এখনও অবধি কোনও মন্তব্য করেনি। তবে ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।

Previous articleলক্ষ্মীলাভ না ব্যয়বৃদ্ধি, কেমন থাকবে স্বাস্থ্য জানুন আপনার রাশিফল
Next articleঅভিনব প্রতারণা:ঠকাচ্ছেন দাঁতের ডাক্তাররাও ! বারাসতে এক রোগীর দাঁতে ক্যাপ বসিয়ে বিল হল প্রায় ১ লক্ষ টাকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here