দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:করোনাভাইরাস ঘটিত মহামারীর মধ্যেও দেখা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হামলা হচ্ছে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর। তাঁদের মারধর করতেও বাকি রাখা হচ্ছে না। গাড়ি, ক্লিনিকে ভাঙচুর করছে।
এ হেন পরিস্থিতিতে সওয়া শতাব্দী প্রাচীণ মহামারী রোগ আইনে সংশোধন এনে কঠোর শাস্তির বন্দোবস্ত করার জন্য বুধবার অর্ডিন্যান্স তথা অধ্যাদেশে অনুমোদন দিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর জানান, মহামারী রোগ অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনও ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীর উপর কেউ হামলা করলে তাকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হবে। এক মাসের মধ্যে ওই হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শেষ করতে হবে পুলিশকে। তার পর ১ বছরের মধ্যে আদালতকে সাজা ঘোষণা করতে হবে।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরও জানান, ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে অপরাধীর তিন মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। হামলার ঘটনায় ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মী যদি গুরুতর জখম হন তাহলে অপরাধীর সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাস ও ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
এখানেই শেষ নয়। জাভরেকর জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মীর গাড়ি বা ক্লিনিকে ভাঙচুর করা হলে বাজার মূল্যের দ্বিগুণ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে বাধ্য থাকবে অভিযুক্তকে।
মহামারী রোগ আইন পাশ হয়েছিল ব্রিটিশ জমানায়। ১৮৯৭ সালে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এই আইন সময়োপযোগী করার দরকার ছিল। তাই সরকার এই অধ্যাদেশ জারি করেছে।
ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর হামলা ঘটনা নিয়ে এদিন সকালেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তার পরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে অধ্যাদেশে অনুমোদন দেওয়া হয়।
জাভরেকরের কথায়, কোভিডের সংক্রমণ দেশকে বড় সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এই অবস্থায় ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীরা যাতে কোনওভাবেই নিরাপত্তার অভাব বোধ না করেন তা সুনিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য। এই কারণেই এর আগে কোভিড চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত দেশের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বিমার পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০ লক্ষ টাকা করেছে কেন্দ্র।
বিস্তারিত আসছে দ্রুত