দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর। এই এই উৎসব শুধু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের নয়, ওপার বাংলার অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের কাছেও সমান আনন্দের। এই উৎসবে মাতেন দুই বাংলার বাঙালিরা। আর এই উৎসবের একটা প্রধান উপকরণ হল উপহার। একে অন্যের সঙ্গে তা ভাগ করে নেওয়ার আনন্দটাই আলাদা। আম জনতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও সামিল হন এই আনন্দে। এবার দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর উপহার হিসেবে শাড়ি, ফুল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। জানা গিয়েছে ৪টে শাড়ি ও ১০ কেজি মিষ্টি পাঠিয়েছেন তিনি। এখনও অবশ্য সেই উপহার পাননি মমতা। কলকাতায় থাকা বাংলাদেশের হাই কমিশনার তৌফিক হাসান সেই উপহার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন এমনটাই জানা গিয়েছে। সোমবারই সেই উপহার নবান্নে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
মমতা ও হাসিনার মধ্যে এই রেওয়াজ অবশ্য আজকের নয়। এর আগেও অনেকবার দু’জন দু’জনকে উপহার পাঠিয়েছেন। ভারত সফরে এলে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে বাংলাদেশে ফেরেন না হাসিনা। কয়েক মাস আগেই ইডেন গার্ডেন্সে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক গোলাপি বল টেস্টের সাক্ষী থাকতে এসেছিলেন হাসিনা। ইডেনে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে দু’জনে ইডেন বেল বাজিয়ে খেলার সূচনা করেন। হাসিনা ছাড়াও বাংলাদেশ প্রশাসনের অনেক আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কিন্তু বেশ ভাল সম্পর্ক রয়েছে। মমতা নিজে বাংলাদেশে গিয়ে হাসিনার বাড়ি গিয়েছেন। ঘুরে দেখেছেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি। যখনই বৈঠক হয়েছে দু’জনের মধ্যে এক আন্তরিকতার ছবি দেখা দিয়েছে। সেই আন্তরিকতার বশেই পুজোর আগে মমতার জন্য উপহার পাঠালেন হাসিনা।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জল বণ্টন নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটাই কমেছে। আর তাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন মমতা ও হাসিনা। দুই বাংলার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও আগের থেকে অনেক মজবুত হয়েছে। বাংলার আবেদনে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ রফতানি করা হয়েছে এপার বাংলায়। সেই সৌহার্দ্যের পথেই আরও একধাপ এগিয়ে পুজোর উপহার পাঠালেন হাসিনা। এখন দেখার মমতার তরফে এই উপহারের পাল্টা কী দেওয়া হয়।