দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ছোটবেলায় পোলিও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার আগে এবং পর একের পর এক ধাক্কা এসেছে জীবনে। দু’ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। তার পর নিজের এবং তিন সন্তানের মুখে খাবার জোগাতে ভিক্ষা করেছেন। সেই টাকা জমিয়েই ফের ঘুরে দাঁড়ালেন। নিজেই ফল বিক্রি শুরু করলেন হায়দরাবাদের রমা দেবী।
জন্মদাতা বাবা–মাকে চেনেন না। ছোটবেলাতেই এক পরিবার দত্তক নেয়। খুব কম বয়সে পোলিওতে আক্রান্ত হন রমা। চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তবু পড়াশোনা থামাননি। তেলঙ্গনার নালগোণ্ডার জেলা স্কুল এবং কলেজে পড়াশোনা করেন। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন।
এর পর বিয়ে হয় রমার। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে হায়দরাবাদে চলে আসেন। বেশ ভালোই দিন কাটছিল। দুই ছেলের জন্ম দেন। এর পর একটি শিশুকন্যা দত্তক নেন রমা ও তাঁর স্বামী। ২০১৮ সালে আচমকা মারা যান রমার স্বামী। চোখে তখন অন্ধকার।
খাবার টাকা পর্যন্ত ছিল না রমার কাছে। অগত্যা ভিক্ষা শুরু করেন। সেই দিয়েই পরিবারের চার জনের পেট চলত। তবু ছেলে–মেয়েদের স্কুল বন্ধ করেননি। রাস্তায় অক্ষম পা নিয়ে ছেঁচড়ে চলতেন। সেই দেখে একদিন এক ব্যক্তি হইলচেয়ার দান করেন। রমার হাঁটাচলার সুবিধা হয়।
ধীরে ধীরে ভিক্ষার টাকা জমিয়েই কিনে ফেলেন ঠেলা। সেখানে শুরু করেন নিজের ফলের দোকান। রমার এই অদম্য জেদকে কুর্নিশ জানান তাঁর পরিচিতরা। তাঁর নিজের কথায়, ‘অনেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। এই দিন দেখার জন্যই হয়তো ঈশ্বর বাঁচিয়ে রেখেছে।’