দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ : ‘‌ভুয়ো ভোটার’‌‌ ধরলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুরে খালসা হাইস্কুলে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে তুমুল বচসা। বুথে ভুয়ো ভোটার রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। অস্বীকার তৃণমূলের। এই নিয়ে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন ওই স্কুলে প্রিয়াঙ্কা যেতেই একজনকে ধরে ফেলেন তিনি। আইডি কার্ড দেখতে চাইলে ওই ব্যক্তি তাও দেখাতে পারেননি তিনি। বাঁশদ্রোণীতে থাকেন তিনি বলে দাবি করেন ওই ব্যক্তি। ভিডিওতে দেখা যায়, তখনই কিছু তৃণমূলের লোকজন এসে তাঁকে ছাত্র বলে সেখান থেকে নিয়ে যান। তার পিছু পিছু ধাওয়া করেন প্রিয়াঙ্কা‌-‌সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা।

হাইভোল্টেজ ভবানীপুর কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হলেও বেলা গড়াতেই চরম উত্তেজনা দেখা গেল। খালসা হাইস্কুলে ভুয়ো ভোটারকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বুথে। তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষের মধ্যে গোলমাল বেঁধে যায়।

বিজেপির অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে ভোট করাচ্ছে শাসক দল। সেই ভোটারকে ধরে মারধরও করা হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সন্দেহ হয়। ভুয়ো ভোটারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। এরপরেই ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। তৃণমূল দাবি করে, যাকে ধরে মারধর করা হয়েছে তার কাছে ভোটার স্লিপ ছিল। আসলে বিজেপিই ভুয়ো ভোটার এনে অশান্তি ছড়াচ্ছে। ঘটনাকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল দাবি করেছেন, কোনও ভোটার আইডি দেখাতে পারেনি ওই তরুণ। তাকে জিজ্ঞাসা করতেই সন্দেহ হয়। সে জানায়, বাড়ি থেকে ভোটার কার্ড এনে দেখাবে। তার আগেই বিজেপি কর্মীরা ধরে ফেলে মারধর করে শুরু করে।

পাল্টা তৃণমূলের দাবি, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল অতিরিক্ত গাড়ি এবং বহিরাগতদের নিয়ে এলাকায় ঘুরছেন। গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর এলেও এই ঘটনা নিয়ে সরগরম ভবানীপুরের ভোটযুদ্ধ।

ভবানীপুরে ভোট শুরু হতেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুর ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ রোডের ১২৬ নম্বর বুথে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলেন তিনি। ভবানীপুরে ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও কীভাবে দোকানপাট খোলা রয়েছে, সে অভিযোগও জানানো হয় নির্বাচন কমিশনে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ উড়িয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, মক পোলের জন্যই ভোট শুরু হতে দেরি হয়। কোনও ইভিএম বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনও একই জবাব দেয়।

বিজেপির অভিযোগ, ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোটারদের প্রভাবিত করছে শাসক দল। ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, সকাল থেকে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে ভবানীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে। তাঁদেরকে নজরবন্দি করার দাবিও জানানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here