দেশের সময়: বঞ্চনা আর বৈষম্যের প্রতিবাদে ফের গর্জে উঠলেন SACT কলেজ শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে এবার জোট বাঁধতে চান তাঁরা। সেইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। এই লক্ষ্যেই West Bengal State Aided College Teachers’ association (WBSACTA) এর উদ্যোগে ১৮ ডিসেম্বর ‘বারাসাত কলেজ অডিটোরিয়াম হলে’ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বারাসাতের বিধায়ক দীপক চক্রবর্তী (চিরঞ্জিৎ)।
রাজ্যের ‘SACT’ অন্তর্ভুক্ত শিক্ষকেরা নানা বৈষম্য, বঞ্চনা ও সমস্যায় জর্জরিত। তাঁদের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই দীর্ঘদিনের। তাঁদের শিক্ষা জগতে পরিষেবার বিনিময়ে পান শুধুমাত্র অ্যাডহক মাধ্যমে মাস মাইনে। তাঁদের স্কেল নেই, পিএফ নেই, ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির সীমা নেই, পেনশন নেই, TC মিটিং এ অন্তর্ভুক্তি নেই, CLASS ROUTINE- এ হস্তক্ষেপের অধিকার নেই, নেই কোনও সুসংহত আদেশনামা। আছে শুধুমাত্র উচ্চপদস্থদের থেকে শোষিত হওয়ার অধিকার। তাঁরা যেন আছেন এক জরাজীর্ণ আস্তরণের মতন। এহেন বৈষম্যের প্রতিবাদে আজ ঐক্যবদ্ধ এবং সরব হয়েছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের শোষণের মুখে কুলুপ এঁটে আজ তাঁরা লড়তে প্রস্তুত। একাধিকবার রাজপথেও নেমেছেন এবং সহ্য করতে হয়েছে অনেক পুলিশি অত্যাচার। এই রাশি রাশি বঞ্চনা আর অসম্মান থেকে তাঁরা মুক্তি চান।
বিধায়ক দীপক চক্রবর্তী তাঁদের বৈষম্যের কথা বলতে গিয়ে অভিনয় জগতে পার্শ্বচরিত্রের সাথে তুলনা টানেন। আবার এও বলেন ‘সবাই সবই জানেন কিন্তু কিছু করার নেই সিস্টেমটাই এমন’। সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা, যাতে তাঁদের এই বৈষম্য অতি শীঘ্র দূর হয়ে বিভেদহীন কর্মজীবন যাপন করতে পারেন।