ইন্দ্রজিৎ রায়, শান্তিনিকেতন

জবরদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার এর কাজে জোর নয় বরং গান্ধীগিরি করে নজর কাড়লেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শনিবার পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক একটি পদযাত্রায় ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পরিবেশ সচেতনতা মূলক বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড এর পাশাপাশি “বিশ্বভারতীর জমি ফিরিয়ে দিন” শীর্ষক প্লাকার্ড দেখা যাওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে শান্তিনিকেতনে।

শনিবার উপাসনা গৃহ প্রাঙ্গণ থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়, অংশগ্রহণ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপিকা সহ পড়ুয়ারা, এই শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় এরকম ধরনের প্লাকার্ড দেখা যাওয়ায় সাধারণভাবেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এই ঘটনায়।

শান্তিনিকেতন রোডের স্টেট ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে থাকা একটি হস্তশিল্প বাজার ঘিরেই এই বিতর্কে এর জন্ম। নিজেদের জমি ফিরিয়ে নিতে তৎপর বিশ্বভারতী এই মর্মে একটি নোটিশ জারি করে দোকান তুলে নেওয়ার আদেশ জারি করেন উক্ত কবিগুরু হ্যান্ডিক্রাফট উন্নয়ন সমিতির দোকানদারদের কাছে। কিন্তু সেই নোটিশ জারি হলেও এই জমি পি. ডব্লিউ. ডি এর, এই দাবি জানিয়ে ব্যবসা চালাতে থাকেন হস্তশিল্পীরা।

পদযাত্রায় সামিল পড়ুয়ারা ওই বাজারের সামনে এসে প্রায় পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন ” বিশ্বভারতীর জমি ফিরিয়ে দিন” প্লাকার্ডগুলো নিয়ে, স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের
সৃষ্টি হয়েছে।

কবিগুরু হ্যান্ডিক্যাপ উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক শেখ আমিনুর জানান এই বাজার থেকে প্রায় ৬৫ টি পরিবার হস্তশিল্পের সামগ্রী বিক্রয় করে সংসার চালান। জমিটি বিশ্বভারতীর নয় তার যথেষ্ট প্রমাণ হিসাবে আমাদের কাছে কাগজপত্র আছে তাই উঠে যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই।

উল্লেখ্য গত দু’বছর ধরে চলা সংস্কারের কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর জনগণের উদ্দেশ্যে পুনরায় খুলে দেওয়া হবে রবীন্দ্র ভবনের শ্যামলী গৃহ আগামী ১৬ আগস্ট একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে শান্তিনিকেতনে আসছেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু।

তার আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সৌন্দর্যায়নের কাজে তৎপর, নিজেদের জমি জবর দখল মুক্ত করা তারই একটি দিক এই কারণেই উপাচার্যের এই গান্ধীগিরি- নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here