দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ এনআরসি–র সময় অসম সরকার তৃণমূল প্রতিনিধিদের শহরে ঢুকতে বাধা দিলেও এদিন কোনও বাধা দেয়নি অসম পুলিস। বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তায় তৃণমূল প্রতিনিধিদের তিনসুকিয়ার ধলায় নিহতদের বাড়িতে নিয়ে যায় পুলিসের কনভয়। তৃণমূল প্রতিনিধিরা সেখানে দেখা করেন নিহত পাঁচ প্রবাসী বাঙালির পরিবারের সঙ্গে। শোকসন্তপ্ত দরিদ্র পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। রবিবার ভোরে সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনের নেতৃত্বে সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, বিধায়ক মহুয়া মৈত্র এবং সাংসদ নাদিমুল হক ডিব্রুগড় পৌঁছন। বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে তিনসুকিয়ার ধলায় যান তৃণমূল প্রতিনিধিরা। গত পয়লা নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ধলা–সাদিয়া সেতুর কাছে বিষ্ণোইমুখ গ্রামে পাঁচ প্রবাসী বাঙালিকে হত্যা করে আততায়ীরা। মারা যান অনন্ত নমঃশূদ্র, অবিনাশ নমঃশূদ্র, সুবল দাস, ধনাই নমঃশূদ্র এবং শ্যামল বিশ্বাস। ঘটনায় আলফা জঙ্গি গোষ্ঠীর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলেও তারা দায় অস্বীকার করেছে। গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এরাজ্যের সব কটি রাজনৈতিক দল। শনিবার রাজ্যজুড়ে কালা দিবস পালন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল গণহত্যার নিন্দা করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।নিহতদের পরিবার পিছু এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা।