দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত কয়েকদিনে বিজেপির একাধিক জেলার একাধিক বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন। তাঁরা সকলেই মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। গেরুয়া শিবিরে মতুয়া নেতাদের যে ক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন টলিউড অভিনেতা তথা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
খড়গপুর থেকে গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু করোনা আবহে গেরুয়া শিবিরে যেন হানা দিয়েছে অন্য সংক্রমণ। তার জেরেই এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন হিরণও। দেখেশুনে অনেকেই বলছেন, এ বোধহয় বিজেপির ‘হোয়াটসঅ্যাপ সংক্রমণ’।
হিরণের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, বিধায়কের ক্ষোভ, বাংলার বিজেপি তাঁকে ‘কাজে লাগায়নি’। বিষয়টি হিরণ কেন্দ্রীয় নেতাদেরও জানিয়েছেন। সাংগঠনিক ভাবে তাঁকে রাজ্য বিজেপি কাজে লাগাচ্ছে না। যদিও বিধায়ক হিসেবে তিনি নিজের কাজ করে চলেছেন। তিনি কলকাতায় না-থেকে তাঁর কেন্দ্র খড়্গপুরেই থাকেন। একাধিক চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর ঘনিষ্ঠদের আরও বক্তব্য, তৃণমূলে যোগ দেওয়া বা দলবদল নিয়ে কারও সঙ্গেই তাঁর কোনও কথা হয়নি। তেমন কোনও পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি।
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়ে দিলেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরে আসেন। নিজের মতো সভা করেন। আমাকে কিছু জানান না! আমি যেখানে উল্লয়ন, সেখানে থাকব।’’ প্রসঙ্গত, দিলীপ আগে ছিলেন খড়্গপুরের (নির্বাচন কমিশনের দলিলে ‘খড়্গপুর সদর’) বিধায়ক। আপাতত তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ। খড়্গপুর বিধানসভা তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
হিরণের বক্তব্যের শেষ বাক্যটি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারণ, শাসক তৃণমূলের প্রধান প্রচারই হল, তারা ‘উন্নয়ন’-এর পক্ষে। অতএব হিরণ যদি বলেন, যেখানে উন্নয়ন, সেখানেই তিনি থাকবেন, তা হলে তা তাঁর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনাই তৈরি করে। এখন দেখার, হিরণ কী পদক্ষেপ নেন৷