দেশের সময়: বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের এবারের তৃণমূল প্রার্থী পরিতোষ সাহা আদৌ তপশিলি জাতিভুক্ত কিনা, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুললেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা। অবিলম্বে এই কেন্দ্র থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করে ইতিহাসের ধারা বজায় রেখে নমঃশূদ্র এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে প্রার্থী করার দাবি জানিয়েছেন মতুয়ারা। আর এই দাবিকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে উঠেছে বাগদা এলাকা।
তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে পরিতোষ সাহাকে। তাঁর শংসাপত্রকেই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। আর এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়েরই কয়েকজন। তাঁদের দাবি, বাগদা বিধানসভা এলাকায় মতুয়া সম্প্রদায় বিশেষ করে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বেশি। আর সেই সূত্র ধরেই তপশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই আসনে নমঃশূদ্র সম্প্রদায় মানুষেরাই বরাবর প্রার্থী হয়ে আসছেন।
সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই অলিখিত এই নিয়মটা মেনে চলা হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু এ বছর তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। তপশিলি জাতির শংসাপত্র থাকলেও পরিতোষ সাহা নমঃশূদ্র এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের কেউ নন, এমনই দাবি তুলেছেন মতুয়ারা। শুধু তাই নয়, তাঁর শংসাপত্রটির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে তাঁরা প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। তাঁদের এই দাবির সমর্থনে সোমবার বিকেলে মতুয়া সম্প্রদায়ের বেশকিছু মানুষ বাগদার হেলেঞ্চা বাজারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
তাঁরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে পরিতোষ সাহাকে সরিয়ে সেখানে নমঃশূদ্র এবং মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের মধ্যে থেকে কাউকে প্রার্থী করতে হবে। এদিনের এই আন্দোলনে শামিল হতে দেখা গেছে এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল নেতা- নেত্রী কেও। বাগদা এলাকায় তৃণমূলের মধ্যে যে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনও বিদ্যমান, তা এদিনের ঘটনায় আবারও পরিষ্কার হয়ে গেল। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ ব্যাপারে এদিন পরিতোষ সাহা জানান, ‘বহু বছর আগে থেকেই আমাদের পরিবারের সবার তপশিলি জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে। সেই শংসাপত্রের জেরেই আমি একাধিকবার জনপ্রতিনিধি হয়েছি। সরকারি চাকরিও করছি। বাগদা এলাকায় দলের একাধিকজন প্রার্থী হওয়ার দাবিদার ছিলেন। কিন্তু তাঁরা প্রার্থী হতে না পেরে আমার নামে কুৎসা রটিয়ে কিছু মানুষকে মতুয়া সাজিয়ে এই নোংরা খেলা খেলছেন।’