দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: মার্কিন হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলেমানির মৃত্যুর পর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ইরান ও আমেরিকার মধ্যে। শুক্রবার সোলেমানির মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাঘাত করল ইরান। বাগদাদে মার্কিন সেনাঘাঁটি ও দূতাবাস লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালাল ইরান।
শনিবার রাতে ইরাকের ‘গ্রিন জোন’-এ রকেট হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই রকেট হামলা সেখানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কাছেই হয়েছে। এছাড়াও ইরাকের মাসুলে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পরপর বেশ কয়েকটি রকেট নিক্ষেপ করেছে ইরানের বায়ুসেনা। এই হামলায় মার্কিন সেনাঘাঁটির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই হামলায় অনেক সেনা-জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। যদিও আমেরিকার তরফে এখনও এই হামলার সত্যতা বা হতাহতের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
অন্যদিকে এদিন ইরানের ৫২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড়সড় সামরিক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরপর তিনটি টুইট করে ট্রাম্প বলেছেন, ইরান কোনও মার্কিন নাগরিক বা আমেরিকার কোনও সম্পত্তির উপর হামলা করলে আমেরিকা পাল্টা হামলা চালাবে। এবং কোথায় কোথায় হামলা চালানো হবে সেই জায়গাগুলি বেছে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
টুইট করে ট্রাম্প বলেছেন, আমরা ৫২টি জায়গাকে টার্টেট করেছি, যার মধ্যে অনেকগুলি ইরানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কাছে খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ। ইরান যদি কোনও মার্কিন নাগরিক বা আমেরিকার কোনও সম্পত্তির উপর হামলা করে, আমরা দ্রুত ভয়ংকর ধরনের পাল্টা আঘাত হানবো।
….hundreds of Iranian protesters. He was already attacking our Embassy, and preparing for additional hits in other locations. Iran has been nothing but problems for many years. Let this serve as a WARNING that if Iran strikes any Americans, or American assets, we have…..
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 4, 2020
ট্রাম্পের বলা ৫২ সংখ্যাটির একটি তাৎপর্য আছে। অনেক বছর আগে ৫২ জন আমেরিকানকে বন্দি করে রেখেছিল ইরান। সেই কারণেই ৫২ সংখ্যাটির উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংস্কৃতির পীঠস্থান ইরানের সাংস্কৃতিক জায়গায় আঘাত হানা যুদ্ধপরাধের সামিল হবে বলে অনেকের মত।
ট্রাম্পের এই হুমকি প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ অন্য সুরে টুইট করেছেন প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা কলিন কাল। তিনি বলেছেন, “আমার এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে, পেন্টাগন এমন কোনও টার্গেটের তালিকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে তুলে দেবে, যার মধ্যে ইরানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে।“
সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।