দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দহনে অতিষ্ঠ বঙ্গবাসী। প্রার্থনা, কেবল কয়েক পশলা বৃষ্টির। ওডিশা, কেরালায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আশঙ্কা। জারি হয়েছে সতর্কতাও। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে দুর্যোগের মধ্যে পড়তে পারে বাংলা আরও শক্তিবৃদ্ধি করেছে ঘূর্ণিঝড় ফোনি। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে আরও শক্তিসঞ্চয় করে ১ মে আছড়ে পড়বে ওড়িশা উপকূলে। এমনই সতর্কবার্তা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

ইতিমধ্যেই ফোনির আগমনের ইঙ্গিত হিসেবে ওড়িশা উপকূলের বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়া। ফোনির প্রভাবে অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূলবর্তী এলাকায় আগামী তিন এবং চার মে বৃষ্টি হবে। এর থেকেও আশার কথা দহনে বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গেও হবে বৃষ্টি। তবে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে এর প্রভাব পড়বে না।

ফোনির প্রভাবে ইতিমধ্যে ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ১০০–১১০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

এক নজরে-

  • টানা দহনে অতিষ্ঠ বঙ্গবাসী। প্রার্থনা, কেবল কয়েক পশলা বৃষ্টির।
  • ওডিশা, কেরালায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আশঙ্কা। জারি হয়েছে সতর্কতাও।
  • ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে দুর্যোগের মধ্যে পড়তে পারে বাংলা।
  • আগামী ৩ মে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
  • এর সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসের দাপট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা হাওয়া অফিসের।

বঙ্গোপসাগরে শক্তিবৃদ্ধি করে ১২৫ কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ফোনি। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে সেই গতিবেগ ঘণ্টা ১৬০–১৭০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ফোনি। ঝড়ের এই গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন আবহাওয়াবিদ্‌রা।
ইতিমধ্যেই ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। আবহাওয়ার উপর নজর রেখে ব্রাহ্মোস এরোস্পেসের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ুসেনা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফোনির গতিবিধি নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সচিব পিকে সিন্‌হা। অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here