দেশের সময় কলকাতাডেস্কঃ বলের রং বদলেছে। বদলায়নি তাঁর খেলা। একই রকম দাপট খেলার তিনটে ফরম্যাটেই। যে ইডেনে গোটা বাংলাদেশ দল মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে গেল সেখানে অবলীলায় বিপক্ষের বোলারদের খেললেন তিনি। নিজের ক্লাস দেখালেন। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের আগেই টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ২৭তম সেঞ্চুরি করলেন ভারত অধিনায়ক।
প্রথম দিন সন্ধেবেলা রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পরে যখন বিরাট ব্যাট করতে নেমেছিলেন তখন বল নতুন। আর প্রথম থেকেই গোলাপি বল সুইং করছিল। তাই প্রথম থেকে ঝুঁকি নিয়ে খেলেননি বিরাট। পজিটিভ মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন। ভাল বলে সম্মান দিয়েছেন। খারাপ বলে তাঁর ট্রেডমার্ক শট দেখা গিয়েছে।
সারাক্ষণ স্কোরবোর্ডকে সচল রাখলেন কোহলি। চার-ছয় না মারলেও সিঙ্গল-ডবলসে রান আসছিল। তার মাঝেই দুরন্ত কিছু কভার ড্রাইভ, স্ট্রেট ড্রাইভ মারেন বিরাট। প্রথমে পূজারা ও তারপর রাহাণের সঙ্গে মিলে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান। প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ৫৯ রানে ব্যাট করছিলেন বিরাট।
প্রথম দিন যেখানে শেষ করেছিলেন দ্বিতীয় দিন সেখান থেকেই শুরু করলেন বিরাট। সঙ্গে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন রাহাণেও। কিন্তু নিজের হাফসেঞ্চুরি করার পরেই উইকেট দিয়ে ফেরেন রাহাণে। খারাপ শট খেলে রাহাণে আউট হলেও নিজের সাবলীল ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন বিরাট। ফাইন লেগ অঞ্চলে দু’রান নিয়ে নিজের ২৭তম সেঞ্চুরি করলেন বিরাট। গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন বিরাট। অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরির তালিকায় ( ২০ ) রিকি পন্টিংকে ( ১৯ ) টপকে গেলেন বিরাট। তাঁর আগে শুধুমাত্র প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ ( ২৫ )।
সেঞ্চুরির পরে আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেছেন বিরাট। আবু জায়েদকে এক ওভারে পরপর চার বলে চারটি চার মারেন বিরাট। বাংলাদেশের থেকে রানের ব্যবধান বাড়িয়েই চলেছে ভারত। এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কোহলি।
ছবি- দেশের সময় ।