
বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক স্বপন মজুমদারের করা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে বাংলাদেশের নাগরিক আলো রানী সরকার এদেশের কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়া তৃণমূল প্রার্থীকে সরকারি নির্দেশিকায় মিথ্যা এমএলএ পরিচয় দিয়ে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি করার অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শাসক বিরোধী উভয়পক্ষ। দেখুন ভিডিও
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নহাটা যোগেন্দ্র নাথ মন্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে ৷
অভিযোগ ২০২১ সালে শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে বিধানসভা ভোটের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আলোর রানী সরকারকে এই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি করা হয়। শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে যার মেয়াদ আগামী ৩০ শে জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যে নির্দেশিকায় আলোর রানী সরকারকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পরিচয় দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব।
পাশাপাশি বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার দাবি করেন আলো রানী সরকার বাংলাদেশী এই মর্মে হাইকোর্টে তিনি মামলা করেছিলেন। যেখানে প্রমাণিত হয় আলোর রানী সরকারের বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম আছে। কিভাবে একজন বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি হতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক স্বপন মজুমদার।
এ ব্যাপারে কলেজের প্রিন্সিপাল সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে না চাইলেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে আলোর রানী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়।
আলো রানী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার অজুহাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চান নি।
এ ব্যাপারে বনগাঁ জেলার তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানান ঘটনা শুনেছেন তিনি৷ দলকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে আগামীতে আবারো জানাবেন, দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশী নাগরিকের বিধায়ক পরিচয় কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি থাকার অভিযোগ সঠিক হলে তাতে যে শাসকদলের মুখ পুড়ছে সে কথা বলাই যেতে পারে ৷
কলেজের একাধিক ছাত্রদের বক্তব্য আলো রানী ভোটে হেরেছেন কিন্তু নামের পাশে এমএলএ লেখা ৷ পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশী নাগরিক হয়েও কিভাবে কলেজের সভাপতির পদ পেলেন এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এই ঘটনায় কলেজের ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা ৷