বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ, আক্রান্তের ১১ শতাংশই ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী

0
2308

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে গোটা বিশ্ব। আর সেই লড়াই ক্রমশই কঠিন হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কাছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সামনের সারিতে যাঁরা রয়েছেন সেই চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাই একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে যত আক্রান্ত তার ১১ শতাংশই চিকিৎসক, নার্সা, স্বাস্থ্যকর্মী। এর ফলেই বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে সব দেশেই কমবেশি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশে সেই হারটা খুবই উদ্বেগজনক। বিশ্বের গড়ের তুলনায় সাত গুণ বেশি স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্তদের আক্রান্ত হওয়ার হার বাংলাদেশে।

সরকারের পেশ করা হিসেব মতো বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের। মোট আক্রান্ত ৭,৬৬৭। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪,৬৬৬ জনের। বাংলাদেশের ৭৯ শতাংশ রোগীই বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১,৭৩১ জন।

কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে সে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্তদের সংক্রমণ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, ওয়ার্ডবয়, আয়ার সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে করোনায় একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সেক্রেটারি মহম্মদ ইহতেশামুল হক চৌধুরি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৮৮১ জন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা সংক্রমণ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক ৩৯২ জন, নার্স ১৯১ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ২৯৮ জন।

ওই সংস্থা পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চিকিৎসকেরা অভিযোগ করেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে এমন পিপিই অনেক ক্ষেত্রে দেওয়াই হয়নি। জীবাণুপ্রতিরোধ করতে পারে এমন মাস্কও অনেকে ব্যবহার করতে পারেননি। যেগুলি দেওয়া হয়ে‌ছে তা নিম্নমানের।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে বিএমএর পক্ষে ইহতেশামুল হক চৌধুরি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণের প্রধান কারণ তিনটি। প্রথমত কারা সংক্রমণমুক্ত, কে সম্ভাব্য করোনা রোগী এবং কে প্রকৃত রোগী—এটা বাছাই করার কোনও ব্যবস্থাই কোনও হাসপাতালে নেই। দ্বিতীয়ত, শুরু থেকেই পিপিইর মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আবার সবাই পিপিই পাননি। যখন পেলেন, তখন তাঁদের ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তৃতীয়ত, অনেক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ গোপন করে হাসপাতালে আসছেন।

Previous articleশর্তসাপেক্ষে মদের দোকান খোলার অনুমতি গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে, জানাল কেন্দ্র
Next articleভারতীয় বায়ুসেনা ফ্লাইপাস্টের সময়ে হাসপাতালগুলির ওপর ফুল ছড়াবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here