বরফ, বৃষ্টিতে জবুথবু দার্জিলিং

0
570

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সান্দাকফুতে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছিল ১৩ ডিসেম্বর। ওইদিন রাতেই তুষারে ঢেকে গিয়েছিল সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। অন্যদিকে, এদিন নতুন বছরের প্রথম তুষারপাতে ধবধবে হয়ে উঠল সান্দাকফু থেকে ছাঙ্গু, নাথুলা, লাচেন–‌সহ উঁচু শৃঙ্গগুলি। সান্দাকফুর রাস্তায় কয়েক ইঞ্চি পুরু বরফ। পাইন গাছও সাদা। একদিকে ব্যাপক তুষারপাত, অন্যদিকে পাহাড়–‌‌সমতল জুড়ে টানা বৃষ্টির জেরে ঠান্ডা আবারও জাঁকিয়ে পড়ল উত্তরবঙ্গে। সান্দাকফু এখন ০ ডিগ্রির অনেক নীচে। শ্বেতশুভ্র প্রান্তরেরই টানে পর্যটকেরা নড়েচড়ে বসেছেন। এদিন তুষারপাতের সময় পর্যটকের আনাগোনা কম হলেও শনিবার থেকে সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পাহাড়ের অনেকেই সমতলে নেমে আসেন। বড়দিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নামলেও ক্রমশ ভিড় কমতে থাকে। দার্জিলিং–‌কালিম্পঙে পর্যটকের তেমন ভিড় নেই। টাইগার হিলে রোজই ২০০–‌‌২৫০ গাড়ি যাচ্ছে। এদিন সান্দাকফুতে জনা ৫০ পর্যটক ছিলেন বলে মানেভঞ্জন থেকে চন্দন প্রধান জানিয়েছেন। তবে, তুষারপাত হওয়ায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে৷

সান্দাকফুতে তুষারপাতের পর প্রহর গুনছিল দার্জিলিং। শনিবার সেই স্বাদও মিটল পর্যটকদের। এ নিয়ে পর পর দু’বছর দার্জিলিঙে বরফ পড়ল।১০ বছর পর গতবার ডিসেম্বরের শেষে তুষারপাত হয়েছিল। এ বার জানুয়ারির শুরুতে দার্জিলিঙের টাইগার হিলের রাস্তায় ইতি উতি বরফ পড়ে থাকতে দেখা গেল। হাতের নাগালে বরফ পেয়ে বেজায় খুশি পর্যটকেরা। গাড়ি থামিয়ে বরফ নিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই।

শনিবার সকালে অবশ্য দার্জিলিং থেকেই স্পষ্ট দেখা গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। বাতাসিয়ালুপ এবং ম্যালের আশপাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ভিড় করেছিলেন পর্যটকেরা। সান্দাকফু এবং টাইগার হিলের পাশাপাশি এ দিনও লাচেন-সহ সিকিমের বিভিন্ন জায়গাতেও বরফ পড়ছে। সেই সঙ্গে চলছে বৃষ্টিপাতও।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, যে ঘূর্ণাবর্তটির অবস্থান ছিল এ রাজ্য লাগোয়া এলাকায়। তা এখন বাংলদেশের দিকে চলে গিয়েছে। ফলে বৃষ্টির পরিমাণ আর বাড়বে না। আজ, শনিবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং বীরভূমে হালকা বৃষ্টি হলেও, রবিবার আর বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। সোমবার থেকে তাপমাত্রা অনেকটাই নিম্নমুখী হবে।

কলকাতার তাপমাত্রা নেমে ১২-১৩ ডিগ্রির ঘরে চলে যেতে পারে।
দিন দার্জিলিঙের তাপমাত্রা ছিল ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টাইগার হিলে বরফ পড়লেও, ম্যাল এবং ঘুম স্টেশনের আশপাশে বরফ দেখা যায়নি। তবে পাহাড়ে কনকনে ঠান্ডায় শীতের আমেজ নিচ্ছেন পর্যটকেরা। এ দিন কলকাতার সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছে। ফলে সারা দিনই ঠান্ডা মালুম হয়েছে।

কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি কম (১৮.০ ডিগ্রি) এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.১ ডিগ্রি। যা আবার স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। রবিবার তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

Previous articleহঠাৎই ভেঙে পড়ল বর্ধমান স্টেশনের পুরনো বিল্ডিং, আতঙ্ক প্ল্যাটফর্ম চত্বরে
Next articleশোভন সব্যসাচীদের ভূমিকা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here