দেবন্বিতা চক্রবর্তী, বারাসত: :- বামেদের ডাকা ৪৮ঘন্টা ধর্মঘটের প্রথম দিনে গোটা রাজ্যে মৃদু প্রভাব পড়েলও এর ঠিক উল্টো দৃশ্য দেখা গেল ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল বন্দরে।এখানে ছিঁটে ফোটাও বন্ধের ছাপ পড়তে দেয়নি তৃণমূলের বিভিন্ন সংগঠন৷ সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মতই এই বন্দর দিয়ে শ’য়েশয়ে পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে ঢুকেছে। বনগাঁ ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজীৎ ঘোষ বলেন,শুধু বনগাঁ নয় এই বন্দরে সারাভারতের মজদুরেরা কাজ করেন তাদের রুজি রুটি নির্ভর করে এখানকার কাজের ভিত্তিতে,তাই সমস্ত শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় বামেদের এই বনধকে রুখে দিয়েছে শ্রমিকরা নিজেরাই।সেই সাথে বনগাঁ শহর ও গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা এক যোগে পাহাড়াদার হয়ে এদিনের মত আগামী দিনেও সচল রাখবে বানিজ্য৷ পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের স্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান,এক দিন বনধ হলে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যায়৷ একেতেই এই বন্দরে কাজ কমে এসেছে ,তাই বন্দরকে সচল রেখে বানিজ্যকে বাঁচাতে মরিয়া প্রচেষ্টা করছে এখানকার সমস্ত শ্রমিক সংগঠন। বাংলাদেশে ফের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসাতে ব্যাবসায়িরাও আশা করছেন আরও বেশি করে ব্যাবসা করতে পারবেন তারা।তাই সবাই একত্রিত হয়ে বনধ রুখে দিল পেট্রাপোল বন্দরে৷

.

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধের ফলে এদিন সমস্যার সন্মুখীন হন সাধারণ মানুষ। হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার একাধিক স্হানে দাড়িয়ে যায় বহু ট্রেন। পাশাপাশি শিয়ালদহ দক্ষিন শাখার যাদবপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন বাম কর্মী সমর্থকরা। সবমিলিয়ে হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় সকাল থেকে মোট প্রায় তিন ঘন্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। সকাল থেকেই অবরোধে উত্তাল হয় উত্তরপাড়া, হিন্দমোটর, ভদ্রেশ্বর, মানকুন্ডু, সমুদ্রগড় সহ একাধিক স্টেশন। পরবর্তীতে পুলিশ ও সিআরপিএফ এর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। একই চিত্র ধরা পড়েছে শিয়ালদহ শাখার বনগাঁ, হাসনাবাদ, বেলঘরিয়া ও মধ্যমগ্রাম স্টেশনে। আর এই সবের মধ্যেই এদিন বনগাঁ শাখার বিড়া ও দত্তপুকুর স্টেশনের মাঝখান থেকে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত সে সম্হন্ধে এখনও অবগত নয় প্রশাসন। শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে বলার বিষয় আজ সকাল থেকে দফায় দফায় ট্রেন অবরোধের ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যার সন্মুখীন হলেও সবক্ষেত্রে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে বেলা গড়াতেই স্বাভাবিক হয়েছে রেল পরিষেবা। স্বাভাবিক হয়েছে জনজীবন। এক কথায় রাজ্যে বনধের মৃদু প্রভাব পড়লেও সীমান্ত শহর বনগাঁ সহ পেট্রাপোল বন্দর ছিল অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here