দেশের সময়, বনগাঁ: প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে ক্ষোভ যেন থামতেই চাইছে না। দুদিন আগে শহর তৃণমূল সভাপতি শংকর আঢ্যর অনুগামীরা তাঁকে প্রার্থী করার জন্য বিক্ষোভ, মিছিল, অবরোধ করেন। একই দাবিতে সোমবার ফের বিক্ষোভ, মিছিল, অবরোধ করলেন শঙ্কর আঢ্যর অনুগামী মহিলারা।
বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে চারবারের জেলা পরিষদ সদস্য, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শ্যামল রায়কে। কিন্তু তাঁকে মেনে নিতে পারছেন না শংকর আঢ্যর অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, সারাবছর যেকোন প্রয়োজনে পাওয়া যায় শঙ্কর আঢ্য কে। তিনি বনগাঁর উন্নয়নের কান্ডারী। এই দাবি তাঁর অনুগামীদের। তাই কোন বহিরাগতকে তাঁরা প্রার্থী হিসেবে চান না। তাঁদের দাবি, এই কেন্দ্রের প্রার্থী পরিবর্তন করতে হবে। সেই দাবির সমর্থনে এদিনও বিক্ষোভ, আন্দোলন হয় বনগাঁয়।
এদিন বনগাঁর খেলাঘর মাঠ থেকে মহিলাদের একটি মিছিল শহর পরিক্রমা করে রামনগর রোডে বিক্ষোভ, অবরোধ শুরু করে। সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মহিলারা স্লোগান দিয়ে দাবি করতে থাকেন, অমিলম্বে প্রার্থী পরিবর্তন করতে হবে। দলের ঠিক করা কোনো বহিরাগত পরিযায়ী নেতাকে আমরা প্রার্থী হিসেবে মানবো না।
এই ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বনগাঁর রাজনীতি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এইভাবে বিক্ষোভ, আন্দোলন করে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে স্থানীয় তৃণমূলের একাংশ। এই আন্দোলনের কারণে তৃণমূল নেত্রীকে চাপে ফেলে তাঁদের দলীয় সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রার্থী বদলে শঙ্কর আঢ্য কে প্রার্থী করেন তৃণমূল নেত্রী, সেই উদ্দেশ্যেই এই আন্দোলন চলছে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে শঙ্কর আঢ্য জানিয়েছেন, দলের কর্মীরা যেমন চাইবেন আমি তেমনভাবেই বিধানসভা ভোটে নিজেকে যুক্ত করব।
এখন প্রশ্ন, এভাবে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে কি আদৌ দলের রাজ্য নেতৃত্বের মন গলানো যাবে ? রাজ্যের যেখানে যেখানে এই ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে, সেই সব জায়গাতেই কি দল প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নেবে ? সেদিকেই অবশ্য এখন তাকিয়ে রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।