দেশের সময় , বনগাঁ: পেট্রাপোল স্থল বন্দর গামী পন্যবাহী ট্রাকের কাছ থেকে জোর করে মোটা টাকা আদায় এবং ট্রাক চালকদেরকে মারধোরের অভিযোগ তুলে বনগাঁ মোটর ভেইকেলস বিভাগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হলেন ট্রাক চালক এবং মালিকেরা। দেখুন ভিডিও:
রবিবার রাত ১০ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বনগাঁর বিএসএফ ক্যাম্পের মোড়ে বিক্ষোভ, অবরোধ শুরু করেন ট্রাক চালক এবং মালিকেরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। জেলা এবং রাজ্য প্রশাসনকে এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৪০০ ট্রাক পন্য নিয়ে বাংলাদেশে যায়। এই বহির্বানিজ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে বনগাঁর অর্থনীতি। সেখানে যেমন ট্রাক চালক, মালিক রয়েছেন, তেমন আমদানী–রপ্তানিকারীরাও যুক্ত রয়েছেন।
ট্রাক চালক, মালিকদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পন্য পরিবহন করা হয়। অথচ বনগাঁ সীমান্তের মতো এতো জুলুমবাজি আর কোথাও হয় না। পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পন্যবাহী ট্রাক যাবার আগে বনগাঁ পুরসভার পরিচালিত মিলন পল্লী পার্কিং এ যায়। সেখান থেকে সীমান্তে যাওয়ার সময় মোটর ভেইকেলস বিভাগের কর্মী, অফিসারেরা ট্রাক দাঁড় করিয়ে নানাভাবে হেনস্থা করতে শুরু করেছেন। ট্রাকচালক ও মালিকদের কথায় ৫o০০ থেকে২৫০০০ টাকা দাবি করেন মোটর ভেইকেলস বিভাগের কর্মী, অফিসারেরা ।’
ট্রাক চালকদের আরও অভিযোগ, ‘দাবি পূরণ না করলে ট্রাক চালকদের কপালে জোটে ব্যাপক মারধর।দুদিন আগেও মারধরের ঘটনায় এক জন ট্রাক চালক জখম হয়েছেন।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং স্টাফ এন্ড ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, মোটর পশ্চিমবঙ্গ মোটর ভেইকেলস বিভাগ কোন ট্রাকের ওভার লোডিং থাকলে তার জন্য নির্দিষ্ট টাকা জরিমানা করতে পারেন তবে কোন ট্রাকচালক বা শ্রমিকদেরকে মারধর করতে পারেন না,পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য সীমান্তেও মোটর ভেইকেলস বিভাগ যদি এভাবে ওভারলোডিং এর উপর কড়া পদক্ষেপ নেন তাহলে আমরাও মেনে নেব তবে এই ওভার লোডিং পক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে ,এটাকে বন্ধ করতে হলে কিছুদিন সময় দিলে ব্যাবসায়ীরা উপকৃত হবেন৷ এভাবে হয়রানি করাটা সুব্যাবস্থার মধ্যে পরে বলে অন্তত আমার মনে হয় না। এইভাবে চলতে থাকলে বনগাঁর ট্রাক চালক, মালিকেরা আগামীদিনে আরও বেশি সমস্যায় পড়বেন।
বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য বলেন, পুরসভার পার্কিং -এ যখন ট্রাক ঢুকছে তখন কেন এই চেকিং হচ্ছে না, গভীর রাতে সীমান্তের রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাগজ দেখার নাম করে ট্রাক চালকদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে, একেতে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাবসা প্রায় বন্ধ হতে বসেছে তার উপরে হঠাৎ করে অতিরিক্ত হয়রানি কাগজ দেখার নামে জুলম করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ট্রাক মালিকেরা, মোটা টাকা আদায় করছেন এক এমভিআই এসব কিছুই বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে জানানো হচ্ছে সংগঠনের তরফ থেকে, দেখা যাক’ তিনি কি ব্যাবস্থা নেন এই বিষয়ে৷
এই বিষয়ে বনগাঁ পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন রাজ্য জুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই কর্মসূচী নিয়েছে, ওভারলোডিং বা যে সমস্ত গাড়ীর কাগজপত্র সঠিক নেই সেই সব গাড়ী আটক করা হচ্ছে রাজ্য পরিবহনদপ্তর এবং জেলা শাসকের নির্দেশ মেনেই।এখানে বনগাঁ পুরসভার বেক্তিগত কোন বিষয় নেই বাইরে থেকে কেউ বিক্ষোভকারীদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে বোঝানোর চেষ্টা করছে তাঁর বেক্তিগত স্বার্থে।