দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে সরগরম ত্রিপুরা। রবিবার রাতেই অভিষেকের সফরের আগে আগরতলা বিমানবন্দর থেকে আগরতলা শহর পর্যন্ত একাধিক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে লাগানো হয়েছিল পোস্টার, ব্যানার, ফ্লেক্স। যদিও সেই সব পোস্টার,ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্বের। এরই মধ্যে অভিষেককে কালো পতাকা দেখানো হল ত্রিপুরায়। এক নয়, তিন-তিনটি জায়গায় কালো পতাকা দেখানো হয় অভিষেককে। পাশাপাশি বেশ কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ও সুদীপ রাহার উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অবশ্য এই সব আচরণ করে তাঁদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে না বলে অবশ্য জানাচ্ছেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা আশিষলাল সিংহ।

অভিষেকের সফরকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই ত্রিপুরা জুড়ে উৎসাহ নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন তৃণমূলের কর্মীরা। কোভিড প্রটোকল মেনেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে অভিবাদন জানাতে প্রস্তুত হয়েছেন তারা। তবে আইপ্যাকের ঘটনার পরে ইতিমধ্যেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, কোভিড প্রটোকল মেনেই মেপে-বুঝে পা ফেলতে হবে কর্মীদের। এদিন অবশ্য দেখা যাচ্ছে আগরতলার মোড়ে মোড়ে উৎসাহিত তৃণমূল কর্মীরা হাজির হয়েছেন।

এদিন ত্রিপুরায় পৌঁছেই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। বেলার দিকে আগরতলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তিনি। রাজ্য নেতৃত্বের মনোবল বৃদ্ধি করতেই এই কর্মসূচি। অভিষেকের পাশাপাশি, বাংলার দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটক ত্রিপুরায় রয়েছেন। এই মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত আছেন এক ঝাঁক তৃণমূল নেতা-নেত্রী। সেই তালিকায় আছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্তের মতো তরুণ নেতারা।

ত্রিপুরার মানুষের বিশ্বাস ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদ নিয়েই যে কোনও শুভ কাজ করতে হয়। তৃণমূলের এক নেতার কথায় ,বিপ্লব দেবের ছবির পাশেই দেওয়া হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার। এভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যে কেউ ওনাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন, সেটা ওঁরা আসলে ভাবতে পারেনি৷ তাই ফ্লেক্স-পোস্টার ছিঁড়ে দিচ্ছে। কিন্তু এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে ‘দিদিকে চাই’ লেখা পোস্টারও। আগরতলা থেকে উদয়পুর পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তারও একই ছবি।

তবে অভিষেককে স্বাগত জানাতে সচেষ্ট ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্ব। রাস্তার মোড়ে মোড়ে হাজির দলীয় কর্মীরা। বিজেপি অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য বিজেপির কোনও কর্মী এর সাথে জড়িত নয়। তাঁদের কটাক্ষ, ত্রিপুরা রাজ্যে জোড়া ফুলের কোনও সংগঠন নেই। তাই জোর করে এইসব মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূলের লক্ষ্য এখন ২০২৪ সালে দিল্লি দখল। সেই লক্ষ্যেই বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে একজোট করার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। বহু কর্মসূচি নিয়ে দিল্লিতেও গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here