দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃরবিবার চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল এক দুষ্কৃতী। কম্যান্ডোরা গুলি করে মারে তাকে। সোমবার জানা গেল, হাইজ্যাকারের কাছে মারাত্মক কোনও অস্ত্র বা বিস্ফোরক ছিল না। খেলনা পিস্তল দিয়ে সে সবাইকে ভয় দেখিয়েছিল। সে দাবি করেছিল, তার দেহে বিস্ফোরক ভর্তি বেল্ট আটকানো আছে। পরে দেখা যায়, এমন কোনও বেল্ট ছিল না। পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। বউয়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। তার পরেই সে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।

চট্টগ্রামের পুলিশ অফিসার কুসুম দেওয়ান বলেন, যে ব্যক্তি প্লেন হাইজ্যাকের চেষ্টা করেছিল, সে মানসিকভাবে সুস্থ ছিল না। আমরা শুনেছি, স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। সে কেবলই বলছিল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমরা তদন্ত করছি। এখনই নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বি জি ১৪৭ বিমানটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে যাচ্ছিল দুবাইয়ে। যাত্রী ছিলেন ১৪২ জন। মাঝ আকাশে এক ব্যক্তি পিস্তল দেখিয়ে ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করে। সে হুমকি দেয়, বাধা দিলে পুরো বিমান উড়িয়ে দেবে। তার শরীরে বিস্ফোরকভর্তি বেল্ট লাগানো আছে। বিকাল ৫ টা ৪০ মিনিটে প্লেনটিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করানো হয়। হাইজ্যাকার সবাইকে বলে, স্ত্রীর সঙ্গে তার কিছু সমস্যা হয়েছে। সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চায়।

বিমান চট্টগ্রামে নামার পরে যাত্রীরা সকলেই নিরাপদে নেমে যান। বিমানের কর্মীরাও একজন বাদে নেমে যান সকলেই। একজনকে ওই হাইজ্যাকার আটকে রাখে। বিমানটিকে ঘিরে ফেলে কম্যান্ডোরা। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল এস এম মতিয়ুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম যাতে ওই ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু সে রাজি হয়নি। বাধ্য হয়ে তাকে গুলি করতে হয়।
হাইজ্যাকারের বয়স ছিল কুড়ির কোঠায়। সে বাংলায় কথা বলছিল। সে কোন দেশের লোক এখনও জানা যায়নি। পাইলট জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে ওড়ার পরে বিমানটি চট্টগ্রামে নেমেছিল। ফের চট্টগ্রাম থেকে ওড়ার পর মিনিটখানেকের মধ্যে এক ব্যক্তি ককপিটে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। বিমানের এক কর্মী তাঁকে জানান, এক ব্যক্তি সন্দেহজনক আচরণ করছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন, চট্টগ্রামেই বিমানটি এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here