দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সকাল থেকে ঝমঝমিয়ে চলা বৃষ্টি কমেছিল দুপুরে। তবে আকাশ ছিল মেঘলা। মাঝেমধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছিল। ফের আজ, বৃহস্পতিবার বিকালে কালো মেঘে ঢাকল আকাশ সাথে দমকা হাওয়া, নামল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি,পন্ড হল পুজোর বাজার।

হাওয়া অফিস বলছে মাঝারি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে একটু বেশি। এই পরিস্থিতি থাকবে শনিবার মহালয়ার দিন পর্যন্ত। আকাশ থাকবে মেঘলা। বুধবার পূর্বাভাসে এমনটাই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আর এই পূর্বাভাসে দুশ্চিন্তা বেড়েছে পুজো–কর্তাদের। অনেক জায়গাতেই মহালয়া থেকে উদ্বোধন–‌পর্ব শুরু হয়ে যায়।

কলকাতার লোকেরা তৃতীয়ার দিন থেকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন। কলকাতা সহ বনগাঁর বেশিরভাগ প্যান্ডেলের কাজ থমকে রয়েছে। ভেতরে কাজ চললেও, শেষ সময়ে আবহাওয়ার এই পরিস্থিতিতে বাইরের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। ভিজে গেছে মণ্ডপের কাঠামোর বাঁশ। সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ ওপরে উঠতে চাইছেন না। তাই শিল্পীরা এখন মন দিয়েছেন ভেতরের কাজ শেষ করে ফেলার। সেগুলি শেষ হয়ে গেলে, পরে রোদ উঠলে বাইরের কাজ শেষ করার সময় পাওয়া যাবে।


দেশপ্রিয় পার্কে খোলা মাঠে চালচিত্র ফেলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সেই জায়গাটি এখন ঢাকা থাকলেও, মণ্ডপের আশপাশে প্রায় হাঁটু সমান কাদা। ফলে সামনের কাজ একেবারেই বন্ধ রয়েছে। লেক টাউনের প্রদীপ সঙ্ঘে কাঁচা মাটির কাজ হচ্ছে। সেখানেও কাজ থমকে গেছে। দমদম পার্ক ভারত চক্রে এবার কাগজের কাজ। ফলে, সেখানেও বাইরের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। বিধাননগরের এ কে ব্লকে খোলা অংশে বিশাল মাকড়সার জাল তৈরি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সেই কাজ বন্ধ রেখে শিল্পীরা ভেতরের কাজ চালাচ্ছেন।

বনগাঁয় চিত্রটা আরও খারাপ, এখানে এদিনের বৃষ্টিতে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন শিল্পীরা, প্রতীমা শিল্পীরাও একরকম হাত গুটিয়ে বসে আছেন শিমুলতলার পটুয়া পাড়ায়৷

কলকাতায় কুমোরটুলিতে অলিগলি সব প্লাস্টিকের চাদরে ঢাকা। কোথাও কোথাও আগুন জ্বেলে প্রতিমা শুকনোর কাজ চলছে। তো কোথাও প্রতিমা প্লাস্টিকে মুড়ে রাখা হয়েছে। স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়ায় রং শুকচ্ছে না। ফলে, প্রতিমসজ্জার পরের পর্বের কাজ এগোনো যাচ্ছে না। বুধবার দেখা গেল, ঝমঝমে বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে প্লাস্টিকের চাদর টাঙিয়ে দেওয়া রয়েছে। অনেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন।

এরই মধ্যে কয়েকটি পুজোর আয়োজকরা এদিন প্রতিমা নিয়ে গেলেন পলিথিনে ঢেকে। কেউ কেউ আবার এভাবেই কোনওমতে কাজ করলেন। বৃষ্টির মধ্যে কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়ারা কুমোরটুলিতে এসেছিল প্রতিমা তৈরি দেখতে। তারা ঘুরে ঘুরে কীভাবে প্রতিমা তৈরি ও সাজানো হয় তা দেখল।

শিল্পীরা জানালেন, পরিস্থিতি বদলাতে দরকার ঝকঝকে রোদ। তাহলে রং দ্রুত শুকবে। পরবর্তী কাজ শেষ করা যাবে। মহালয়া থেকে আরও বেশি করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া শুরু হবে। মাঝে মাত্র দুটো দিন।

শুক্রবার কি রোদ উঠবে?‌ আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও থেমে যাবে এরকম ভাবার কারণ নেই। মাঝেমধ্যে রোদের দেখা মিললেও তা স্থায়ী হবে না। উল্টে বেশির ভাগ সময় আকাশ থাকবে মেঘলা। তাপমাত্রাও থাকবে একটু কম। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। আগামী দু–তিনদিন এরকমই চলতে পারে। আর এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে পুজো আয়োজকদের থেকে শুরু করে শিল্পীদের।বনগাঁয় যশোর রোডের প্রাচীন গাছ গুলির শুকনো ডাল বিপদ জনক অবস্থায় ঝুলছে,যে কোন মুহুর্তে সেই সব ডাল ভেঙে পড়ে বরসড় বিপদ ঘটতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষ। ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের৷

রোদ না উঠলে প্রতিমা তৈরি থেকে মণ্ডপের বাইরের কাজ সবেতেই দেরি হবে।‌‌ বনগাঁ শিমুলতলা আয়রন গেট স্পের্টিং ক্লাব কর্তা শঙ্কর আঢ্য বলেন এখন দুর্গা মা সকলের ভরসা,তিনি সব কিছু ঠিক করেদেবেন৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here