প্রাণের উত্সবে মাতোয়ারা বনগাঁ শহর। বুধবার অষ্টমীর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই আলোর মালায় সেজে উঠল রাজপথ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিড় বাড়ল দর্শনার্থীদের। উত্তর থেকে দক্ষিণ– বনগাঁ৷ জনস্রোত আছড়ে পড়ল ইছামতীর তীরে এই সাজানো শহরের বুকে। সাবেকি পুজোই হোক বা থিমের ঘনঘটা। পুজোর আনন্দ পুরোপুরি চেটেপুটে নিতে মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় গা ভাসাল আট থেকে আশি।
ভিড় যে ক্রমেই বাড়বে তা তো ইছামতীর তীরের বাসিন্দারা আগেই আঁচ করেছিলেন। মহাতৃতীয়া এবং মহাচতুর্থী থেকেই তাই উৎসবের আলো মেখে এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপ ঘুরে বেড়িয়েছেন সকলে। মহাপঞ্চমী, মহাষষ্ঠী এবং মহাসপ্তমীতে সময়ের সঙ্গে যা ক্রমে বেড়েছে বই কমেনি। মহাঅষ্টমীর দুপুরেও তাই আগেভাগে পছন্দের মণ্ডপ দর্শনে রাজপথে হাজির ছিলেন অগুনতি মানুষ। গাড়ির সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকায় যশোর রোড, চাকদা রোড, বাগদা রোডে, মাঝেমধ্যেই থমকে গেল যানের গতি। শিমুলতলা আয়রনগেট স্পোর্টিং ক্লাব,১৫পল্লী যুবগোষ্ঠী, এগিয়েচলো সংঘ ৩নং টালিখোলা,প্রতাপগড় স্পোর্টিংক্লাব,অভিযান সংঘ, গান্ধীপল্লী.তালতলা স্পোর্টিং ক্লাব,শান্তি সংঘ–জনস্রোতে কে যে কাকে টেক্কা দিচ্ছে বুঝে ওঠাই দায়। প্যান্ডেলের সামনে লম্বা লাইনে দীর্ঘ প্রতীক্ষা পছন্দের প্রতিমাকে চাক্ষুষ করার। তারপরই পরের থিমের উদ্দেশ্যে দৌড়। একের পর এক মণ্ডপ দর্শনে ক্লান্ত হয়ে অনেকেই বসে পড়লেন পথের পাশে। সামান্য অবসরে সেখানেই কিছুক্ষণ চুটিয়ে আড্ডা। চা, কফি, এগরোল, ফুচকা হোক বা আইসক্রিম। অল্প পেটপুজো সেরেই ফের জনস্রতে ভাসতে ভাসতে এগিয়ে চলা। কাউন্ট ডাউন শুরু চলছে।রাত যত বারছে , ততই বেড়েছে জনস্রোত ।সূর্যদয়ের সাথে শুরু হবে নবমীর প্রস্তুতি। তাই একটুও সময় নষ্ট না করে চলেছে উৎসব সরণীতে এগিয়ে চলা। -দেশের সময়ঃ