দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কয়েক মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন খুব শিগগির প্রাথমিকে ১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হবে। সেইসঙ্গে আগামী ৩১ জানুয়ারি ফের প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু সেই শিক্ষক নিয়োগের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ফের কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। আগামীকাল বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে সেই মামলার শুনানি।
মামলাকারীর অভিযোগ, ন্যাশনাল স্কুল অফ টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই-র গাইডলাইন অনুযায়ী প্রতি বছর রাজ্যের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই এনসিটিই গাইডলাইন না মেনে ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ বছর কোনও পরীক্ষা নেয়নি। অথচ ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা যোগ্যতার কারণে চাকরি পাননি তাঁদের পুনরায় নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ২৩ শে ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ন্যাশনাল স্কুল অফ টিচার এডুকেশনের গাইডলাইনের পরিপন্থী। এটি সংবিধানের ১৪ এবং ১৬ নম্বর ধারার পরিপন্থী বলেই অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গে মামলাকারী বিবেক গাজীর পক্ষে আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বলেন, রাজ্য সরকার যদি এই ১৬৫০০ পদে নিয়োগ সম্পূর্ণ করে তাহলে ২০২১ সালে প্রাইমারি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য কোনও শূন্যপদ থাকছে না। তাহলে কী কারণে ৩১ শে জানুয়ারি টেট পরীক্ষা হতে চলেছে তা স্পষ্ট নয়। আশিসবাবু আরও জানান, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যাঁরা সফল হয়েছিলেন তাঁদের নিয়োগ সম্পূর্ণ হয় ২০১৫ সালে। কিন্তু কিছু টেট পাস করা প্রার্থীর প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশন অর্থাৎ ডিএড বা ডিএলএড না থাকায় তাঁরা অসফল হন। পরবর্তীকালে তাঁরা তাদের ডিএড কোর্স সম্পন্ন করেন। এর মধ্যেই ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু কোনও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ প্রতি পদে বেআইনি কাজ হয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর।
এখন দেখার এই মামলার শুনানিতে আগামীকাল হাইকোর্ট কী রায় দেয়।