দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জলপাইগুড়ি জেলায় ৪০ থেকে ৬০ টাকার বিনিময়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম ভরার কাজ চলছে বলে জানাগিয়েছে পুলিশ সূত্রে। বিষয়টি জানাজানি হতেই চারিদিকে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি জানতে পারার পর‌ই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

অথচ বাস্তবে এখনও শুরুই হয়নি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প৷ বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রকল্প শুরুর দিন সবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এরই মধ্যে এই প্রকল্পকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।

জলপাইগুড়ি জেলার আমবাড়ি থানার কামারভিটায় বেশ কিছুদিন ধরে টাকা নিয়ে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছিলেন এক মহিলা। জানা গিয়েছে ওই মহিলার নাম শিখা দে সরকার। তিনি একটি স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত।

বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে এই অনিয়মের কথা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ শিখা দে সরকার সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়া বাকি তিন জনের মধ্যে বাপি দে সরকার ও বাপ্পা দে সরকার নামে দুই ভাই আছে। উল্লেখ্য বাপি দে সরকার সম্পর্কে শিখা দে সরকারের স্বামী হন। গ্রেফতার হওয়া চতুর্থ ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ মহন্ত।

জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সূত্রে খবর এই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাদের জেরক্স মেশিন এবং প্রিন্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে চাপ থাকায় এই বিষয়টিতে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে যে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জেরক্স এবং প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা আছে। অভিযুক্ত শিখা দে সরকার আগেভাগে অনলাইন থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলোড করেন। এরপর নিজেদের ব্যবসার জেরক্স মেশিনের সাহায্যে সেই ফর্ম জেরক্স করে টাকা নিয়ে এলাকার মহিলাদের মধ্যে তা বিতরণ করতে শুরু করেন। গোটা বিষয়টি বুঝতে না পেরে স্থানীয় মহিলারাও টাকার বিনিময় ফর্ম সংগ্রহ করেন। অথচ বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন আগামী ১৬ আগস্ট থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিতরণ শুরু হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here