দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত ৩০ জানুয়ারি ন্যাশনাল পোলিও ইমিউনাইজেশন ড্রাইভের সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরই মধ্যে সোমবার জানা গেল, মহারাষ্ট্রের যবতমাল জেলায় পাঁচ বছরের কমবয়সী ১২ টি শিশুকে পোলিও ড্রপের বদলে দেওয়া হয়েছে স্যানিটাইজার। যবতমাল জেলা পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শ্রীকৃষ্ণ পাঞ্চাল এখবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যাদের পোলিও-র বদলে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তারা ভালই আছে। এই ঘটনার জেরে এক স্বাস্থ্যকর্মী, এক চিকিৎসক ও এক আশা কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত এক দশক ধরে ভারত পোলিওমুক্ত রয়েছে। ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি শেষবার ভারতে এক শিশুর শরীরে পোলিওভাইরাস ধরা পড়েছিল। ভারত সতর্ক আছে যাতে প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নতুন করে পোলিওভাইরাস এদেশে প্রবেশ না করে।

পোলিও-র সঙ্গেই ভারতে করোনার টিকা দেওয়া চলছে। আপাতত করোনার দু’টি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে এদেশে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের মঞ্চে বলেছেন, করোনাকে জয় করেছে ভারত। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, ভারতে ভয়ংকর রূপ নেবে অতিমহামারী। কিন্তু তা হয়নি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে তৈরি দু’টি ভ্যাকসিন মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে আরও মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিন আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “গতবছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, বিশ্ব জুড়ে অতিমহামারীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত। এদেশে সুনামির মতো আছড়ে পড়বে করোনা। তাঁদের ধারণা ছিল, ভারতে ২০ লক্ষ মানুষ করোনায় মারা যাবেন। কিন্তু মানুষের সহায়তায় আমরা সেই আশঙ্কা বাস্তব হতে দিইনি।”

মোদীর দাবি, যে দেশগুলি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে, ভারত তাদের অন্যতম। ভারতে বিশ্বের ১৮ শতাংশ মানুষ বাস করেন। এদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় সারা বিশ্বই বিরাট বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
টিকাকরণের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিনেশন প্রকল্প চালু হয়েছে। মাত্র ১২ দিনে ২৩ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নিয়েছেন। ভারত থেকে অন্য দেশেও ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। সেই সব দেশের মানুষও করোনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।গত সপ্তাহে জানা যায়, দেশের পাঁচভাগের এক ভাগ জেলায় সাত দিন ধরে নতুন সংক্রমণ নেই।

বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় আমেরিকার পরেই রয়েছে ভারত। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণ শিখরে পৌঁছেছিল। তারপর থেকেই তা কমতে শুরু করেছে। দেশে একাধিক জায়গায় হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here