দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এক সপ্তাহ আগে দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় দফতরে গেরুয়া শিবিরে পা রেখেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। ভাটপাড়ার বিধায়ক এবং চেয়ারম্যানের দাবি ছিল বারাকপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন আসলে তাঁর সংগঠন। ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই আসলে অর্জুনের অনুগামী। যদিও সেই সকল অনুগামীদের অনেকে তৃণমূলের পতাকাতলে থাকার বিষয়টিকে ‘ট্রেড সিক্রেট’ বলে উল্লেখ করেছিলেন অর্জুন সিং।
নতুন দলে যোগ দিয়েই পুরনো দল ভাঙার খেলা শুরু করে দিলেন অর্জুন সিং। শুক্রবার তাঁর হাত ধরে বিজেপির শিবিরে নাম লেখালেন নৈহাটির তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর গণেশ দাস।

যদিও ভাটপাড়া পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর কোন দিকে থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মাঝে পড়শি নৈহাটি পুরসভার ভাঙন ধরালেন অর্জুন সিং। বিজেপি শিবিরে নাম লেখালেন নৈহাটি পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গণেশ দাস। শুক্রবার বিজেপির বারাকপুর(সাংগঠনিক) জেলার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেন গণেশবাবু। এই দলবদলের সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জাতীয় নেতা মুকুল রায়। এদিন কাউন্সিলর গণেশ দাসের সঙ্গে তাঁর অনেক অনুগামীও তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন।

আগেই অর্জুনের হুঙ্কারের জবাব দিয়েছিল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের একাধিক শীর্ষ নেতা আক্রমণ করেছেন অর্জুন সিং-কে। তাঁর ভাটপাড়া পুরসভার দখল নেওয়ার কথাও বলেছে তৃণমূল। যদিও ভাটপাড়া পুরসভা তাঁর দখলে থাকবে এবং বিজেপির পরিচালনায় আসবে বলে পালটা জবাব দিয়েছিলেন অর্জুন।
যে অর্জুন সিং এক সময় তৃণমূলের সম্পদ ছিল এখন সে ই তৃণমূলের এক প্রকার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। শুক্রবার ঠাকুরনগরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর উত্তর থেকে তা অনেকটা স্পষ্ট

তিনি স্পষ্টতই এ দিন জানান যারা দল থেকে বেরিয়ে গেছেন তারা ভোটের পরে বুঝতে পারবেন কত বড় ভুল করেছেন। তখন আফসোস করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। চোখ দিয়ে জল ফেলতে হবে। দলে ফেরার চেষ্টা করলেও দল তখন তাদেরকে নেবে কি না ভাবা হবে । রাজ্যের ২৮ টি কেন্দ্রে বিজেপি যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে সে সম্পর্কে জ্যোতিপ্রিয়র মন্তব্য এদের মধ্যে একজনও জিতবে বলে মনে হয় না।
দলত‍্যাগী তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং এর ব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বেশ ক্ষুব্ধ ।
তিনি অভিযোগ করেন অর্জুন সিং পৌরসভা এবং সমবায় যেভাবে চালাচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে সেটা তার পৈত্রিক সম্পত্তি। তার মনে রাখা উচিত এই দুটি সংস্থাই় চলে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে ইতিমধ্যেই দলের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ফিরহাদ হাকিম এর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে । দল এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here