দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ঠিক ২০ দিনের ফারাক। এর মধ্যে তালপাটি খাল দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। সেই সঙ্গে রাজ্য রাজনীতির এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচ্য নাম শুভেন্দু অধিকারীর মুডও যেন একেবারে অন্যরকম!
১০ নভেম্বর সকালে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে? ভূমি উচ্ছেদ কমিটির মঞ্চ থেকে আগুন ঝরা বক্তৃতা করেছিলেন শুভেন্দু। হাত মুঠো করে, গলার রগ ফুলিয়ে সেই বক্তৃতায় দেখা গিয়েছিল অভিমান, ক্ষোভের অগ্নুত্‍পাত। শরীরী ভাষায় ছিল নজিরবিহীন আগ্রাসী মেজাজ।


৩০ নভেম্বর রাস পূর্ণিমার সকাল। সেই নন্দীগ্রামেই যেন অন্য শুভেন্দু। হরেকৃষ্ণ কীর্তনে খোল বাজাচ্ছেন সদ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়া তৃণমূল নেতা। কীর্তনের সুরে দুলে গেল শরীরও।

তবে অনেকের নজর বেশি পড়েছে সেই রাস মঞ্চের উদ্দেশে শুভেন্দুর যাত্রার সময়ে। ২ হাজার বাইক তাঁকে এসকর্ট করে নিয়ে গেছে। বাইক আরোহীদের অনেকেরই হাতে গেরুয়া পতাকা, তাতে ওম লেখা।


এমনিতে শুভেন্দুকে নিয়ে এখন নানান জল্পনা চলছে। তিনি কী করবেন, কোন পথে যাবেন তা নিয়ে রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা কার্যত হাওয়া অফিস খুলে পূর্বাভাস দিতে শুরু করেছেন। এই কীর্তনের অনুষ্ঠানের পর অনেকে এটাকেও ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন। এত দিন একাধিক অরাজনৈতিক কর্মসূচি করেছেন শুভেন্দু। যদিও অনেকের মতে ব্যানার অরাজনৈতিক হলেও কর্মসূচি ছিল পুরদস্তুর রাজনৈতিক। সে যাই হোক! এদিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শুভেন্দুর এ হেন পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই অনেক কিছু বলতে চাইছেন।

তবে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু যে এই প্রথম কীর্তনে অংশ নিলেন তা নয়। এর আগেও তাঁকে কাঁথি, তমলুক-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় কীর্তনে অংশ নিতে দেখা গেছে। তাঁর অনুগামীরা বলেন, কীর্তন দাদার খুব প্রিয়। মাঝেমাঝেই নামসংকীর্তনে অংশ নেন তিনি। কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে খোলে সঙ্গত করতে কখনও বা করতালে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here