দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পাকিস্তানের অর্থনীতির আকাশে ঘন কালো মেঘ। বিপুল ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানের বাজার এখন অগ্নিমূল্য৷ এক লিটার দুধের দাম ১৪০ টাকা। যেখানে এক লিটার পেট্রল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে ১১৩ টাকা ও ৯১ টাকা।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পাইকারি বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। মহরমের দিনে কাঁচা আনাজ, ফল, দুধের দাম আরও বেড়েছে। করাচি, সিন্ধ প্রদেশে দুধ বিক্রি হয়েছে লিটার প্রতি ১২০ টাকায়। খোলা বাজারে দুধের দাম আরও বেশি, লিটার প্রতি ১৪০ টাকা। শুধু কি মহরমের জন্যই এই মূল্যবৃদ্ধি? করাচির বাজারে এক আনাজ বিক্রেতার কথায়, “দুধের দাম বাড়ছে।
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আনাজপাতির দামও। এর আগেও মহরমের দিনে সবজি, দুধ বিক্রি করেছি, এত বেশি দাম কখনও হয়নি।”
সিন্ধু প্রদেশের ছবিও এক। সেখানকার এক দোকানদারের কথায়, “মহরমের দিনে দুধ, ফল, ফলের রস বেশি বিক্রি হয়। তাই বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় দাম কিছুটা বাড়ে। তবে এত বেশি দাম কখনওই হয়নি।”
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পরে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রায় ইতি টেনেছে পাকিস্তান। সীমান্ত পেরিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধ। কূটনেতিক স্তরে ভারতের সঙ্গে পাক সরকার সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্তে নাজেহাল সেখানকার সাধারণ মানুষ। ভাঙনের মুখে পাকিস্তানের অর্থনীতি। জীবনদায়ী ওষুধের জন্যও হাহাকার সর্বত্র। সম্প্রতি ভারত থেকে জীবনদায়ী ওষুধ আমদানিতে সম্মতি দিয়েছে পাক সরকার।
শুধু ওষুধ নয়। টান পড়েছে আনাজ থেকে নিত্য ব্যবহারের পণ্যেও। ভারত থেকে পেঁয়াজ ও অন্যান্য আনাজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় টান পড়েছে হেঁশেলেও। একদিকে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ, অন্যদিকে অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে চিন-বিরোধী মনোভাব ক্রমশ বাড়ছে পাকিস্তানে।
গত কয়েক বছরের হিসেব বলছে, পাকিস্তান থেকে চিনে পণ্য রফতানির পরিমাণ ৮ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর চিন থেকে পাকিস্তানে পণ্য আমদানি ২৯ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ করিডর তৈরি হওয়ার পর চিন নিজেদের পণ্য হু হু করে ঢোকাচ্ছে পাকিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তানি পণ্য সে ভাবে চিনে ঢুকতে পারছে না।
পাকিস্তানের বাজারও সস্তা চিনা পণ্যে এমন ভরে যাচ্ছে যে পাকিস্তানি পণ্যের ব্যবসা ব্যাপক মার খাচ্ছে। সেই নিয়ে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে।