দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হল দুই বিএসএফ কর্মীর। এঁদের মধ্যে একজন ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। অন্যজন কনস্টেবল। মঙ্গলবার শেষরাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রায়গঞ্জ থানার ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুলি চালিয়ে দুই সহকর্মীকে মেরে ফেলার পরেই আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত বিএসএফ কনস্টেবল।

বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে মালদাখণ্ড আউটপোস্টে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন ইন্সপেক্টর মহিন্দার সিং ভাট্টি, কনস্টেবল অনুজকুমার এবং কনস্টেবল উত্তম সূত্রধর। সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎই উত্তম সূত্রধর মহিন্দার ও অনুজকুমারকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। কর্তব্যরত অন্য জওয়ানরা গুলির শব্দ পেয়ে কী হয়েছে দেখতে গেলে তখনই তাঁদের সামনে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত ওই জওয়ান।

এঁরা প্রত্যেকেই বিএসএফের ১৪৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কর্মী ছিলেন। খবর পেয়ে ভোররাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিএসএফের আধিকারিকরা। পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরাও। কেন ওই জওয়ান এমন ঘটনা ঘটাল তা এখনও স্পষ্ট নয়। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, এক বিএসএফ কনস্টেবলের গুলিতে তার দুই সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়েই রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযুক্ত জওয়ান আত্মসমর্পণ করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

সীমান্ত পাহারার সময় সাধারণত জওয়ানদের নিজেদের মধ্যে বেশ খানিকটা করে দূরত্ব থাকে। তাই প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়াও খুব সমস্যা। তবে ওই ক্যাম্পের অন্য জওয়ানরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন উত্তম সূত্রধর। চুপচাপ থাকতেন। কারও সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলতেন না। তবে কী কারণে তার এমন মানসিক পরিবর্তন তা জানাতে পারেননি কেউ। তেমনই কেন হঠাৎ সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাল, সেটাও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ও বিএসএফ আধিকারিকরা পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here