দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ খোদ রাজধানী দিল্লিতে সাতসকালে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই হল পুলিশের। সোমবার উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে খলিস্তানপন্থী বব্বর খালসা গোষ্ঠীর গোপন ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। দুই জঙ্গির সঙ্গে তাদের গুলিবিনিময় হয়। পরে দু’জন ধরা পড়ে। তাদের থেকে ছ’টি পিস্তল এবং ৪০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দু’জনের নাম ভুপিন্দর, ওরফে দিলাওয়ার সিং এবং কুলওয়ান্ত সিং। পাঞ্জাবেও তাদের নামে কয়েকটি মামলা আছে।
গত মাসেই বারমেরের সন্ত্রাস দমন আদালত বব্বর খালসা গোষ্ঠীর এক জঙ্গিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। সে ২০০৯ সালে পাকিস্তান থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও গুলিবারুদ এনেছিল। বিশেষ বিচারক ভমিতা সিং বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখানো উচিত নয়।”
এর আগে জানা যায়, পাকিস্তানেও খলিস্তানপন্থী জঙ্গিরা সক্রিয়। দল খালসা ইন্টারন্যাশনাল (ডিকেআই) নামে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন গড়ে পাকিস্তান থেকে কাজ চালাচ্ছে তারা। পাঞ্জাবকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক খালিস্তান তৈরির লক্ষ্যে কেটিএফ এবং ডিকেআই এখন হাত মিলিয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গত বছর ফরিদকোটের কাছ থেকে এক মহিলা-সহ সন্দেহভাজন দু’জনকে আটক করা হয়েছে যাদের সঙ্গে পাক জঙ্গিদের যোগসূত্র রয়েছে। আটকদের মধ্যে একজন নার্স, ফরিদকোটেরই বাসিন্দা। অন্যজন দুবাই থেকে সম্প্রতি ফরিদকোটে এসেছেন।
গতবছর সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ার দিকে পাঞ্জাব সীমান্তে একটি ড্রোন উদ্ধার হয়। ওই ড্রোনে চাপিয়ে পাকিস্তান থেকে পাঞ্জাবের খলিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স (কেজেডএফ) নামে খলিস্তানপন্থী একটি জঙ্গি সংগঠনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার হচ্ছিল বলে জানায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তার পর থেকে পাঞ্জাব সীমান্ত পেরিয়ে লাগাতার ড্রোনের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। সীমান্তে একটি পুড়ে যাওয়া ড্রোন উদ্ধার হয়। তাতেও একই কায়দায় অস্ত্র, নকল টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ।
ফিরোজপুরের কাছেও একটি পাক ড্রোনকে ভারতের আকাশসীমায় দেখা যায়। বিএসএফের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ৪-৫ মিনিট সীমান্তের কাছে আকাশে ঘোরাফেরা করে ফিরে যায় ড্রোনটি।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, পাঞ্জাবে খালিস্তানি মডিউলকে ফের চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল ও খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্সের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ চালাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিসংগঠনগুলো। ড্রোন মারফৎ বিপুল সংখ্যক এ কে ৪৭ রাইফেল, গ্রেনেড এবং যুদ্ধের অন্যান্য সরঞ্জাম ঢোকানো হচ্ছে পাঞ্জাবে।