দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ সপ্তাহান্তের দিঘা। তাই থইথই ভিড়। পর্যটকদের আনন্দ আর উত্তেজনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল উত্তাল সমুদ্র। মেঘলা আকাশ। তার দোসর হয়ে গতকাল থেকেই জোরদার হয়েছে পূবালি হাওয়া। তারই জেরে গার্ড ওয়াল টপকে সাত থেকে আট ফুট উচ্চতার ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে মেরিন ড্রাইভে।

পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, সাধারণত সকাল ৯টা নাগাদ জোয়ার আসে। বেলা ১২টার পর থেকে শুরু হয় ভাটা। শুক্রবার থেকেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছে জোয়ার-ভাটা। আজও জোয়ার এসেছে সকাল দশটার পরে। ঘড়ির কাঁটা দুটো পার করার পরেও ফুঁসছে সমুদ্র। তাই সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। সৈকত বরাবর নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। সতর্ক করা হয়েছে নুলিয়াদেরও।

এ দিকে শুক্রবার সন্ধ্যার জোয়ারের পর থেকেই জল ঢুকেছে শংকরপুর, শ্যামপুর, তাজপুর, ও জামড়া উপকূলের একাধিক গ্রামে। ফলে আতঙ্কে রাত জেগে কাটিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। সমুদ্র লাগোয়া সাতটি গ্রামের ৭০টি পরিবারকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র। আজ সকাল ১০ টা নাগাদ জোয়ার আসতেই বাঁধ টপকে জল ঢুকে পড়ে বিভিন্ন গ্রামে। শুধু তাই নয়, বাঁধ ভেঙে টেনে নিয়ে গেছে উত্তাল জোয়ারের ঢেউ।

সমুদ্র বাঁধে ফাটল ধরায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ারের জল ঢুকেছে কয়েকটি গ্রামে। আপদকালীন বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। রামনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা দাস মহাপাত্র বলেন, “প্রশাসন গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। আর কয়েকমাসের মধ্যে পাকা কংক্রিটের বাঁধ তৈরির জন্য টেণ্ডার করা হবে। আপাতত আপদকালীন বাঁধ তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

জেলার বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও প্রাক্তন অধ্যাপক গুরুপ্রসাদ দিন্দা বলেন, “আচমকাই বদলে গিয়েছে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি। এখনও বর্ষার বৃষ্টি নামেনি তেমনভাবে। ঘূর্ণাবর্তের দাপটে মাঝ সমুদ্রে এখন উত্তাল ঢেউ। তারই অভিঘাত এসে লাগছে তটভূমিতে।”

এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের অতি উৎসাহ যাতে বিপদ না ডেকে আনে তার জন্য সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here