দেশের সময়নারদ তদন্তে গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সিবিআই। এ বার অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গেল এই তদন্ত এজেন্সি। সূত্রের খবর, সাংসদদের বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া শুরুর জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার থেকে অনুমতি চাইল সিবিআই।
তৃণমূল কংগ্রেসের চার সাংসদকে দেখা গিয়েছিল নারদ স্টিং অপারেশনে টাকা নিতে। সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সামনে এসেছিল। যখন স্টিং অপারেশন হয়েছিল, তখন শুভেন্দুবাবু সাংসদ ছিলেন। শুধু সাংসদ নয়, রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকেও দেখা গিয়েছিল ওই ফুটেজে। জানা যাচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া শুরুর জন্য বিধানসভার স্পিকারের থেকেও অনুমতি চাইবে এই তদন্ত এজেন্সি।
২০১৪ সালে গোপন ক্যামেরা নিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে আগেই এই ফুটেজ ফাঁস হয়ে যায়। হই হই পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সে সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আগে জানলে এদের টিকিট দিতাম না।’ সেই ভোটে যাঁরা তৃণমূলের হয়ে লড়াই করছিলেন, তাঁদের মধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা গিয়েছিল ওই ফুটেজে। যদিও পরে মমতা বলেছিলেন, পার্টির জন্য চাঁদা নেওয়া হয়েছে। কোনও ঘুষ নেওয়া হয়নি।
ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়কেও। পরে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। এখন শোভন চট্টয়াপধ্যায়ও বিজেপি-তে। এর মধ্যেই শোভন, অপরূপা-সহ নারদ ফুটেজে থাকা ১০ তৃণমূল নেতাকে ভয়েস স্যাম্পলের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।
পর্যবেক্ষকদের মতে, স্পিকারের কাছে সিবিআইয়ের অনুমতি চাওয়ার অর্থ একটাই। তথ্য-প্রমাণ, সাক্ষী-সাবুদ সব জোগাড় হয়ে গিয়েছে। এ বার বাকিটা। লোকসভার স্পিকারের অনুমতি পেলেই সিবিআই দরবার করবে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের কাছে। এবং আইপিএস মির্জার বিরুদ্ধে চার্জশিটের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি অনুমতি চাইবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।