দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ চকবাজারের ঘিঞ্জি চুড়িহাট্টা গলির পরে এ বার ঢাকার মীরপুরের চলন্তিকা বস্তি। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রায় ১৫ হাজার ঘর। আগুন ছড়িয়েছে পাশের একটি মসজিদ ভবনেও। প্রাণহানির খবর না মিললেও, ঢাকার স্থানীয় টিভি চ্যানেল ও সংবাদ মাধ্যমগুলি জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে ঘরহারা প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তাঁদের জন্য অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে শুক্রবার সন্ধেয়। মীরপুর-৭ নম্বরে রূপনগর থানার পিছনের চলন্তিকা বস্তিতে আগুন লেগে যায়। রাতভর চেষ্টায় আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। তবে এখনও জ্বলছে বেশ কিছু ঘর। আগুন ছড়িয়ে পাশের মসজিদ ভবনের নীচের সবজির বাজার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বস্তি লাগোয়া কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত। বিষাক্ত ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এলাকার অনেকেই।

চলন্তিকা মোড় থেকে রূপনগর আবাসিক এলাকা পর্যন্ত ঝিলের উপর কাঠের পাটাতন দিয়ে ছোট ছোট ঘর বানিয়ে এই বস্তি তৈরি হয়েছিল। দমকল সূত্রে খবর, বস্তির প্রতিটা ঘরেই প্লাস্টিক, কাঠকুটো-সহ নানা দাহ্য বস্তু মজুত করা ছিল। আগুন তাই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইদ-উল আধার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বস্তির বেশিরভাগ মানুষই ছিলেন বাইরে। তাই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড সেটা এখনও বোঝা যায়নি।

বস্তির বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছিল বস্তির বেশ কয়েকটি ঘরে। সেখান থেকেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গ্যাসের লাইনগুলো ছিল প্লাস্টিকের। সেগুলোও জ্বলে যায় খুব তাড়াতাড়ি। দমকলের শীর্ষ আধিকারিক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা নর্থ সিসি কর্পোরেশনের (DNCC) মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘরহারাদের জন্য শিবির বানানো হয়েছে। স্থানীয় স্কুলগুলিতেও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের খাবার, পোশাকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মীরপুরের অন্য কোথাও তাঁদের পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখে ভাষা আন্দোলন দিন পুরনো ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় পর পর কয়েকটি বহুতলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ১৫ ঘণ্টার চেষ্টায় বিশাল সেই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রাণ হারান অন্তত ৭০ জন। জখন হন বহু মানুষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here