দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সংহতি জানানোর জন্য কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সোমবার ট্র্যাক্টর নিয়ে সংসদে উপস্থিত হন। সেজন্য তাঁর কঠোর সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতারা। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা সহ কয়েকজনকে কিছুক্ষণের জন্য আটকও করেছিল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যে ট্র্যাক্টরটি চালিয়ে রাহুল সংসদে ঢুকেছিলেন, সেটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানাগিয়েছে৷

অভিযোগ, সংসদ ভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস নেতারা অনেকে জড়ো হয়েছিলেন। বিজেপি নেতা বিনয় সহস্রবুদ্ধে বলেন, “রাহুল গান্ধী রাজনীতি করছেন। সেই রাজনীতিতে কৃষকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে জানিয়েছে, আইন নিয়ে যদি কারও আপত্তি থাকে, তাহলে তা সংশোধন করা হবে। সরকার আলোচনায় বসতে রাজি।”

পুলিশের অভিযোগ, প্রতিবাদ জানানোর আগে তাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ট্র্যাক্টর নিয়ে সংসদে ঢোকায় মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট অনুযায়ী কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া কোভিড বিধি ভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। রাহুল যে ট্রাক্টরটি চালিয়েছিলেন, তাতে কোনও নাম্বার প্লেট ছিল না। শোনা যাচ্ছে, রবিবার রাতেই ট্র্যাক্টরটি সংসদের বাইরে আনা হয়।

রাহুল সোমবার বলেন, নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের কথা সংসদে পৌঁছে দিতে চান। রাহুলের দাবি, অবিলম্বে ওই আইনগুলি বাতিল করা হোক। তাঁর কথায়, “আমি সংসদে কৃষক আন্দোলনের বার্তা বহন করে নিয়ে এসেছি। সরকার কৃষকদের কণ্ঠরোধ করছে।

তারা সংসদে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা হতে দেয়নি। যে কৃষকরা ধরনায় বসেছেন, তাঁদের বলা হয়েছে সন্ত্রাসবাদী। বাস্তবে কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”


গত আট মাস ধরে দিল্লির সীমান্তে ধরনা চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক হাজার কৃষক। তাঁরা এসেছেন মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই কৃষকরা শুরু করেছেন কিষাণ সংসদ। রবিবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ঘোষণা করেছে, এবার থেকে কিষাণ সংসদ পরিচালনা করবেন মহিলারা।


কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাতে গত বৃহস্পতিবার সংসদ চত্বরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। কংগ্রেসের অন্যান্য সাংসদও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। গত বুধবারই জানা যায়, দিল্লির যন্তর মন্তরে কিষাণ সংসদ বসানোর জন্য আন্দোলনরত কৃষকদের অনুমতি দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার।

কৃষকরা ঘোষণা করেছেন, আগামী ৯ অগাস্ট পর্যন্ত কিষাণ সংসদ বসবে। দিল্লি সরকার বলেছে, সেখানে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে করোনা বিধি। পুলিশ জানিয়েছে, রোজ ২০৬ জনের বেশি কৃষক যন্তর মন্তরে জমায়েত হতে পারবেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here