দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা এখনও কম। প্রয়োজন মতো অক্সিজেন থেরাপি চলছে তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্লোজ অবজারভেশনে অর্থাৎ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। সবসময়ই পাশে থাকছেন একজন চিকিৎসক। বর্ষীয়ান অভিনেতার বিভিন্ন শারীরিক প্যারামিটারের ওঠানামার উপর কড়া নজর থাকছে তাঁর।
সূত্রের খবর, আজ শনিবার সৌমিত্রবাবুর চেস্টের সিটি স্ক্যান হতে পারে। এছাড়াও আজ তাঁর রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। সেইসব টেস্টের রিপোর্ট পেলে মেডিক্যাল বোর্ড আলোচনায় বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। সূত্রের খবর, মেডিক্যাল বোর্ডে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছে, সৌমিত্রবাবুর খিদে একেবারেই নেই। তবে তিনি ঘুমিয়েছেন স্বাভাবিক ভাবেই।
কয়েকদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গতকাল রাতে আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইটিইউতে স্থানান্তর করা হয়। জানা গিয়েছিল, শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আজ সকাল থেকে অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গতও, অক্টোবরের প্রথম দিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন সৌমিত্রবাবু। জ্বর, সর্দির মতো কোভিডের উপসর্গ ছিল তাঁর শরীরে। ৫ অক্টোবর তাঁর করোনা পরীক্ষা হয় এবং রিপোর্ট আসে পজিটিভ। ৬ তারিখ সকাল ১১ টা নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
উল্লেখ্য, সৌমিত্রবাবুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকদিনের। ২০০৬ সাল থেকে তিনি সিওপিডিতে আক্রান্ত। গত বছর নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল সৌমিত্রবাবুর। চরম শ্বাসকষ্ট নিয়ে রুবি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রবীণ অভিনেতাকে। আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।
এমনিতে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধদের জন্য বেশ ঝুঁকির। তার উপর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অনেকগুলি কো-মর্বিডিটি রয়েছে। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।