দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রবিবার সকালে ক্যানিং স্ট্রিটের একটি বহুতলে আগুন লাগে। দ্রুত ওই আগুন বিধ্বংসী রূপ ধারণ করে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে খবর।

জানা গিয়েছে, ১০৯ নম্বর ক্যানিং স্ট্রিটে একটি পুরনো বহুতলে সকাল পৌনে দশটা নাগাদ আগুন লাগে। ওই বহুতলে অনেক গোডাউন ও দোকান রয়েছে। প্রথমে বহুতলের চারতলায় একটি প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন লাগে বলে খবর। তারপর তা অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে।

বহুতল থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখেই স্থানীয়রা খবর দেন দমকলে। প্রথমে সেখানে দমকলের দুটি ইঞ্জিন যায়। তারপরে আরও ৫টি ইঞ্জিন আসে। দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু আগুন ওই বহুতলের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই বহুতল প্লাস্টিক ও দাহ্য পদার্থের অনেক দোকান ও গোডাউন রয়েছে। লকডাউন ও তার মধ্যে ছুটির দিন হওয়ায় সব দোকান-পাঠ বন্ধ। বাজার চালু থাকলে প্রাণহানি হতে পারত বলে তাঁদের অনুমান।

আগুন লাগতেই ওই বহুতলের নীচের তলায় ও বহতল লাগোয়া দোকানের কর্মীরা দোকান খালি করতে থাকেন। ক্যানিং স্ট্রিট ও ব্রেবোর্ন রোড সংলগ্ন একটি রাস্তা বন্ধ করে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এই আগুনে ওই বহুতলের দোকানদারদের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কার কতটা ক্ষতি হয়েছে তা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না।

দমকল সূত্রে খবর, কোথায় প্রথমে আগুন লেগেছিল তা বোঝা যাচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে একতলায় শর্ট সার্কিট থেকে প্রথমে আগুন লাগে। তারপরে তা অন্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকায় আগুন নেভাতে অনেক সমস্যা হয় তাঁদের। বাধ্য হয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও কাজে নামানো হয়। সবাই মিলে চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার ছুটির দিন থাকায় গোটা বাজার বন্ধ ছিল। তাই আগুনে কেউ ভিতরে আটকে পড়েননি। হতাহতের খবর নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও দমকল কর্মীরা বহুতলের ভিতরে ঢুকে ভাল করে খতিয়ে দেখছেন, কোথাও আগুন লেগে রয়েছে কিনা। ওই বহুতলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বড়বাজার এলাকায় অবশ্য আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়। ২০০৮ সালে নন্দরাম মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। ২০১৮ সালে আগুনে পুড়ে যায় বাগরি মার্কেট। সেই দুঃস্বপ্ন ফের একবার দেখতে হল স্থানীয় বাসিন্দাদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here