দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মাঝে করোনা আক্রান্ত হয়ে কয়েক দিন হাসপাতালে কাটানোয় বাধা পেয়েছিল নির্বাচনী প্রচার। কিন্তু একবার সুস্থ হয়ে ওঠার পরে ফের প্রচারে যোগ দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে নির্বাচনী সভায় এসে ট্রাম্প বললেন, দারুন লাগছে তাঁর। আর সভাতেই নিজের মাস্ক এক টানে খুলে ফেললেন তিনি।

শনিবার হোয়াইট হাউসে ছিল এই সভা। সেখানে এসেই সবার সামনে নিজের মাস্ক খুলে ফেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরে তিনি বলেন, “সবার সামনে ফিরতে পেরে আমার দারুন লাগছে। বাইরে বেরিয়ে ভোট দিন। সবাইকে ভালবাসি।” ট্রাম্প মাস্ক খুলে ফেললেও তাঁর সবাই যাঁরা ছিলেন, সবাইকেই দেখা গেল মাস্ক পরে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট আক্রান্ত হওয়ার পরে তাঁর সভা নিয়ে কড়াকড়ি করেছে হোয়াইট হাউস। তাই এই বন্দোবস্ত।

হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমি আমার দেশের মানুষদের বলতে চাই যে আমরা করোনাভাইরাসকে হারাতে চলেছি। এই ভাইরাস উধাও হচ্ছে। এটি উধাও হতে চলেছে। আমরা শক্তিশালী ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। অসুস্থদের আমরা সুস্থ করে তুলছি। খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। এটাও রেকর্ড টাইমে।”

ট্রাম্পের সভায় এদিন যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মুখে ট্রাম্পের নামে জয়ধ্বনি ছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগে খুব একটা ভাল জায়গায় নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেনের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। তাই নিজের জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।

আগামী কাল ফ্লোরিডায় বিশাল জনসভা রয়েছে ট্রাম্পের। তারপরে মঙ্গলবার পেনসিলভেনিয়া ও বুধবার লোয়াতে সভা করবেন তিনি।

অন্যদিকে নিজের নির্বাচনী প্রচারে করোনাভাইরাসকে প্রধান হাতিয়ার করে তুলেছেন ৭৭ বছর বয়সী জো বিডেন। আমেরিকার পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ ট্রাম্প, এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি।তাছাড়া এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যেভাবে বড় বড় সভা করছেন, তারও নিন্দে করেছে বিডেন। এই ধরনের জনসভা থেকেই আরও বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমনটাই দাবি তাঁর।

আমেরিকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে টুইটে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করেছেন বিডেন। তিনি বলেন, “২ লাখ ১৩ হাজারের বেশি আমেরিকাবাসী এই ভাইরাসের কবলে পড়ে মারা গিয়েছেন। আর সত্যিটা হল এভাবে এটা হওয়া উচিত ছিল না। এটা সরকারের ব্যর্থতা। তারপরেও বড় বড় কথা বলছেন ট্রাম্প। আমেরিকার মানুষই তাঁকে জবাব দেবেন।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here