দেশের সময়,বনগাঁ: ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বনগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিলি করা হলো। বনগাঁর মতিগঞ্জের শিবমন্দির এলাকায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবদাস মন্ডল সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা নেত্রীরা।
দেবদাস মন্ডল জানান, মঙ্গলবার নববর্ষের দিন এবং বুধবার মিলিয়ে এক হাজারেরও বেশি মানুষের হাতে এই ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন, সবজি ইত্যাদি। এ ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ করেন, কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন রাজ্যের দরিদ্র মানুষদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠালেও এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার সেই ত্রাণ সামগ্রী নিজেদের নাম করে বিলি করছে। ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপির পক্ষ থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ কর্মীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক তুলে দেওয়া হয়।
বনগাঁ ১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ডেও প্রায় পাঁচ হাজার দরিদ্র মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।ওই দুই ওয়ার্ডে রথীন হালদার ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে এাণ বিলি করেন বলে জানান দেবদাস মন্ডল। রথীন হালদার জানান বনগাঁর ১৮,১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বহু শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন তাঁদের পাশে থাকতে পেরে ভাল লাগছে।তবে আগামী দিনেও আমরা সমস্ত মানুষের পাশে আরও বেশি করে থাকতে চাই৷
বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী সারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে এক যোগে লড়াই করেছেন এই করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে। সেখানে দাঁড়িয়ে শান্তনু ঠাকুর বনগাঁয় এসে এখন রাজনীতি করছেন এটা মানুষ ভাল ভাবে নেবেন না৷ মতুয়া সম্প্রদায়ের কয়েক লক্ষ মানুষ রয়েছেন যাঁরা এতদিন ঠাকুর বাড়িতে দান করেছেন কোটি কোটি টাকা, সেই টাকা এখন এই ভয়ঙ্কর করোনা যুদ্ধে খরচ করে সেই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে করোনার যোদ্ধা হিসাবে আগে প্রমাণ করুক। কেন্দ্রের দেওয়া সমস্ত ত্রাণ সামগ্রী রাজ্য সরকার স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বিলি করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে৷ বনগাঁ পুরসভা এবং ছয় ঘরিয়া পঞ্চায়েত স্থানীয় মানুষের সাহায্যে সম্পূর্ণ ভাবে নিযুক্ত রয়েছে।