দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সকালে বলেছিলেন, আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন। বিকেলে জানা গেল, হাইকোর্টে মামলা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। সোমবার এই মামলার প্রথম শুনানি রয়েছে।
৪০ কাউন্সিলরের বিধাননগর পুরনিগমের ৩৫ জন সই করেছেন সব্যসাচীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থায়। তবে মেয়র শিবিরের দাবি, ‘অনাস্থার কারণই স্পষ্ট করা হয়নি।’ অনাস্থা প্রক্রিয়ায় ত্রুটির উল্লেখ দাবি করেই উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন সব্যসাচী।

  • তৃণমূলে সব্যসাচীর বিরোধী শিবিরের নেতাদের দাবি, দাদা-ভাইয়ের গেমপ্ল্যান ভেস্তে দিতে তাঁরা তৈরি।
  • সব্যসাচীর বিরোধী গোষ্ঠীর এক কাউন্সিলরের দাবি, যে সব কাউন্সিলর মেয়রের ঘনিষ্ঠ, তাঁদের নাম ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠানো হয়েছে।
  • শীর্ষনেতারা ওই সকল কাউন্সিলরদের ফোন করে ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দলে থাকতে গেলে বর্তমান মেয়রের বিপক্ষেই ভোট দিতে হবে।
  • যদিও কেউ উল্টো পথে হাঁটেন, দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে।

সল্টলেকের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ১৮ জুলাই ভোটাভুটি। সেখানেই ঠিক হবে, সব্যসাচী মহানাগরিক হিসেবে ব্যাটিং করে যাবেন নাকি তাঁকে প্যাভলিয়নে বসে থাকতে হবে স্রেফ এক জন কাউন্সিলর হিসেবে।
এই অবস্থার মধ্যেই যাঁকে তিনি বরাবর হৃদয়ে রাখেন বলে সব্যসাচী দাবি করেন, সেই ‘দাদা’ মুকুল রায় ভাইকে পরামর্শ দিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ সল্টলেকের মেয়রের বাড়িতে হাজির হন। সূত্রের খবর, দু’দিন লুচি-আলুর দম, পরোটা-ডাল মাখানির পর এ দিন বিরিয়ানি সহযোগে মুকুল সব্যসাচীকে আস্থা ভোটে কী হতে পারে, ভোটাভুটিতে হেরে গেলেই বা কী করা উচিত, এই সব ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, তৃণমূলে সব্যসাচীর বিরোধী শিবিরের নেতাদের দাবি, দাদা-ভাইয়ের গেমপ্ল্যান ভেস্তে দিতে তাঁরা তৈরি। সব্যসাচীর বিরোধী গোষ্ঠীর এক কাউন্সিলরের দাবি, যে সব কাউন্সিলর মেয়রের ঘনিষ্ঠ, তাঁদের নাম ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠানো হয়েছে। শীর্ষনেতারা ওই সকল কাউন্সিলরদের ফোন করে ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দলে থাকতে গেলে বর্তমান মেয়রের বিপক্ষেই ভোট দিতে হবে। যদিও কেউ উল্টো পথে হাঁটেন, দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here