দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশে কোভিড–১৯ মহামারীর দাপট উত্তরোত্তর বাড়ছে। আর সেই সঙ্গেই বেড়ে চলেছে গ্রামীণ অর্থনৈতিক সঙ্কট। বিশেষ করে তিনটি ক্ষেত্রে এর সরাসরি প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
প্রথম ত্রৈমাসিক রিপোর্টে রবি শস্যের ভালো উৎপাদনের জন্য কৃষিক্ষেত্রে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির খবর মিললেও, বাজারের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, দুধ, পোল্ট্রি এবং হর্টিকালচার বা উদ্যানপালনের উৎপাদনে দাম পড়ে গিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, লকডাউনের পর পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা বড় অংশ নিজেদের গ্রামে ফিরে গিয়েছেন। আনলকিং–এর পর অনেকে কাজের সন্ধানে ফের শহরমুখী হলেও শ্রমিকদের একটা বড় অংশ এখনও গ্রামেই রয়ে গিয়েছেন।
বেশ কিছু রাজ্য যেমন বিহার, উত্তর প্রদেশের রাজ্য জিডিপি–র অনেকটাই নির্ভর করে এই সহ অকৃষিজীবী পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের বাড়িতে পাঠানো অর্থের উপর। সেই অর্থ সেভাবে আর রাজকোষে না আসায় গ্রামীণ অর্থনীতি ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে।
তৃতীয়ত, কোভিড–১৯ দ্রুত ছড়াচ্ছে গ্রামগুলিতেও। এবং গ্রামে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ভঙ্গুর দশা গ্রামীণ অর্থনীতিতে জোরাল ধাক্কা দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেনঅতিরিক্ত শস্য উৎপাদন হওয়ায় দেশের একাংশ উপকৃত হলেও অন্য অংশ উৎপদিত অতিরিক্ত শস্য পরিবহনের অভাবে ঠিকমতো বাজারজাত না করতে পেরে এবং উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় আরও অর্থ সঙ্কটে পড়েছে।