দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শীতলকুচি কাণ্ডকে ফের বিজেপি-র চক্রান্ত বলে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷সোমবার রানাঘাটে নির্বাচনী সভা থেকে এই ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘প্ল্যান করে একজন মহিলাকে পাঠিয়েছিল বিজেপি। তারপর গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয় চারজনকে। আর এই সবটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চক্রান্ত।’ শুধু তাই নয়, শীতলকুচি কাণ্ডের গোটা প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী জানতেন বলেও এদিন মন্তব্য করেন মমতা।

সোমবারের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে আগাগোড়াই উঠে আসে শীতলকুচি কাণ্ডের প্রসঙ্গ। দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার নাম না করেই এদিন তিনি বলেন, ‘এক একজন বিজেপি নেতা বলছে আরও গুলি করা উচিত ছিল। কেউ কেউ বলছে আটজনকে গুলি করা উচিত ছিল। এই নেতাদের ব্যান করা উচিত।’ সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এদিন মমতার বার্তা, ‘ওদের স্লোগান হরে কৃষ্ণ হরি হরি, গুলি করে মানুষ মারি। তাই বলছি এই বিজেপি-কে একটা ভোটও নয়।’

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘কে কে গুলি চালিয়েছিল আমি সকলের নাম বের করে ফেলেছি। সব তদন্ত করে বের করব।’ আমিত শাহের আক্রমণের জবাবে মমতা বলেন, ‘একজন ১৮ বছরের রাজবংশী ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি অবশ্যই ,সমবেদনা জানাচ্ছি। কিন্তু, বিজেপি নিজের কর্মীকে নিজেরাই খুন করেছে। আর সেই অজুহাত দিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করার চেষ্টা করছে।’

বস্তুত শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে এখন ভরপুর রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। বিজেপির স্পষ্ট অভিযোগ মমতার প্ররোচনাতেই গ্রামবাসীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করেছিল। সেদিন পাঁচ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চার জন সংখ্যালঘু, বাকি এক জন হিন্দু। কিন্তু তৃণমূল শুধু সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বেগ দেখাচ্ছে। তাঁদের মারা যায় আসলে মমতারই। এ কথা বলে বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতিতে ধার দিতে চাইছে।


অন্যদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাদাগিরি চলছে বাংলার ভোটে। চারটে মানুষকে গুলি করে মেরে দেওয়া হল। কেন মারা হল, সত্যিই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করেছিল কিনা তার কোনও প্রমাণ নেই। তৃণমূল বোঝাতে চাইছে, বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করলে তাদের মেজাজ ও মনোভাব এমনই হবে। তাই সাধু সাবধান।

অন্যদিকে, বাংলায় পঞ্চম দফার নির্বাচনের মুখে ভোটপ্রচারে এসে আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । বর্ধমানের মিহিদানার প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে বিঁধলেন মোদী। সোমবার বর্ধমানের সভায় নমো বলেন, ‘বর্ধমানের মিহিদানা ও চাল বিখ্যাত। বর্ধমানের মিহিদানা কি পছন্দ করেন না মমতা? নাহলে উনি এত রাগ করছেন কেন? ওঁর রাগ, ক্রোধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। জানেন কেন? বাংলায় অর্ধেক দফার নির্বাচনে তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। বাকি চার দফার নির্বাচনে তৃণমূল পুরো সাফ হয়ে যাবে।

বিজেপি সেঞ্চুরি করে ফেলেছে।’ তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ করে মোদী আরও বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামে ক্লিন বোল্ড দিদি। আপনাদের সঙ্গে দিদি খেলা খেলতে চেয়েছিলেন। দিদির সঙ্গেই খেলা হয়ে গিয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here