দেশের সময় ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার এক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করল বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

সেই সম্মেলনেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন বোলপুরের বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরা, উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদা বিধানসভার বিধায়ক দুলাল বর এবং মালদহর হবিবপুরের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু। এই সাংবাদিক সম্মেলনেই মুকুল রায় বলেন,

প্রত্যেকদিন কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল ছেড়ে বিধায়ক, সাংসদ, নেতারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এটা চলতেই থাকবে। শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুকুলের বক্তব্য, এ তো শুধু ট্রেলর, সিনেমা শেষ হলে দেখবেন তৃণমূল কংগ্রেসও শেষ হয়ে গিয়েছে।

এদিন মুকুল রায় আরও বলেন, “বাংলায় যে অরাজকতা চলছে, তার ফলে এখন সব দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস, সিপিএম, এমনকী তৃণমূল থেকেও সাংসদ, বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। আর কেউ বিজেপির পতাকা হাতে ধরলেই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছেন মমতা। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এখন তা সম্ভব নয়।

তাই আজ এই তিন জনপ্রিয় সাংসদ-বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন।” এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ-এর প্রসঙ্গও তুলে আনেন মুকুল। বলেন, সৌমিত্র ও অনুপম দুজনে বন্ধু। তাই সৌমিত্র দলীয় পতাকা নেওয়ার পর যখন তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হলো, তখনই অনুপম ঠিক করেছিলেন নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি।

মমতা সরকারের উপর তোপ দাগেন বিজেপির তরফে রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। তিনি বলেন, “মুকুলদা নিজের হাতে তৃণমূলকে শূণ্য থেকে শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই মুকুলদা এখন প্রতিজ্ঞা করেছেন, ফের তৃণমূলকে শূণ্যে নিয়ে আসবেন। প্রত্যেকদিন বিভিন্ন দল থেকে লোক বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। ভোট পর্যন্ত রোজ এটা হবে।”

বাগদার বিধায়ক দুলাল বর ষোলোর ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেও পরে যোগ দেন তৃণমূলে। তিনি দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া নেতা। নিজের এলাকায় সংগঠনও মজবুত। তাঁকে বনগাঁ লোকসভায় প্রার্থী করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বার বনগাঁ লোকসভা বিজেপি-র অন্যতম টার্গেট।

গেরুয়া শিবিরের নেতারা মনে করছেন, এই আসনে জেতা সম্ভব। গতমাসেই বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত ঠাকুরনগরে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মতুয়া মহাসঙ্ঘের ধর্মসভায় যোগ দিয়েছিলেন মোদী। সেই সভাতেও মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here