দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কখনও নিজের ঢাক পেটানো। কখনও আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বেলাগাম ভাষায় ফেসবুকে আক্রমণ। আলটপকা কথাবার্তায় যেন লাগাম নেই বাংলাদেশের বিখ্যাত গায়ক মইনুল হাসান নোবেলের। এবার নোবেলের জন্যে সংকট আরও বাড়ল। ভারতে এলেই এবার নোবেলকে গ্রেফতার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্যে ত্রিপুরার এক ব্যক্তি মামলা দায়েক করেছেন নোবেলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, বাংলাদেশ হাই কমিশনেও পাঠানো হয়েছে। নোবেলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০৪, ৫০৫ ও ১৫৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। সেই সূত্রেই ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে, এদেশে এলেই নোবেলকে গ্রেফতার করা হবে।
খুব সম্প্রতি তাহসিন এন রাকিব নামের একজন ইউটিবার ও সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গেও বিস্তর কথা কাটাকাটি হয় নোবেলের। বেশ কিছু অশালীন শব্দও প্রয়োগ করার অভিযোগ ওঠে এই গায়কের বিরুদ্ধে। আর সেই কারণে ২০১৯ সালের সারেগামাপা-র দ্বিতীয় রানার্সআপ নোবেলকে ডেকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান -এর পাশাপাশিই কিছু দিন ধরে নোবেলকে পর্যবেক্ষণ করছিল বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। এ দিন নোবেল-কে র্যাব ২ কার্যালয়ে ডাকা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনতর কাণ্ড তিনি কেন ঘটান? এই প্রশ্নেরই উত্তর র্যাবের তরফে থেকে নোবেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তার উত্তরে নোবেল জানান, এই সবই আসলে একটি গানের ‘মার্কেটিং পলিসি’। দীর্ঘক্ষণ নোবেলের সঙ্গে এই সব বিষয়ে আলোচনার পর র্যাবের অ্যাডিশনাল এসপি মনির জামান বলেন, “আমাদের দেশের তো বটেই, এমনকী পড়শি দেশ ভারতেও একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নোবেল।”
র্যাবের কর্তা মনির জামান আরও বললেন, “গায়কের নিজস্ব ফেসবুক পেজ নোবেল ম্যান থেকে সম্প্রতি যা বলেছেন, তা আসলে নোবেলের নতুন গান তামাশা-কে প্রোমোট করার জন্য। কারও ভাবাবেগে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। এরপরেও যদি কেউ নোবেলের কথায় দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের কাছে ঠিক এই কথাই বলেছেন নোবেল। আমরা র্যাব ২-এর পক্ষ থেকে ওঁকে ডেকেছিলাম। একবার ডাকতেই স্বেচ্ছায় আমাদের কাছে ওঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও অশালীন মন্তব্য করার জন্য নিজের ফেসবুক পেজ থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন নোবেল। এমনকী এ দিন র্যাব-এর পক্ষ থেকে যে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, কী বৃত্তান্ত– এসব কিছুই ফেসবুক পোস্টে খোলসা করেছেন এই গায়ক। তবে সোশ্যাল মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, ‘কখনই মার্কেটিং পলিসি নয়। এই ধরনের কাজকর্ম আসলে নোবেলের স্বভাবসিদ্ধ।’ এবার নোবেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ায় নোবেলের সংকট বাড়ল।