দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কোনও এলাকায় কারও জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে সেই তথ্য সরকারের কাছে যাতে দ্রুত পৌঁছয় তার জন্য মোবাইল অ্যাপ তৈরি করল রাজ্য। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সন্ধানে’ নামের ওই অ্যাপ নিজেদের মোবাইলে ইনস্টল করবেন আশা কর্মীরা। তারপর যাঁর জ্বর বা অন্য উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাঁর নাম-ঠিকানা লিখে ডিজিটালি স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পাঠিয়ে দেবেন তাঁরা। তা পাওয়ার পর স্বাস্থ্য দফতর সংশ্লিষ্ট এলাকার মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে অসুস্থ ব্যক্তির বাড়িতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠাবে। তাঁরা গিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে নাকি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হবে।

দু’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, একটা রিপোর্টিং কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। যাতে কোনও গ্রামে যদি কারও কাশি বা জ্বর হয় তাহলে তা যেন তৎক্ষণাৎ সরকার জানতে পারে। অবশ্য অভিজিৎবাবু এই পরামর্শ দেওয়ার অনেকে আগেই কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যগুলিকে এই পরামর্শ দিয়েছিল।

আশাকর্মীদের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিজিৎবাবু। সেদিনই মোবাইল অ্যাপ প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সরকারের তরফে জানানো হল সেই অ্যাপ প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী রিপোর্টিং ও টেস্টের উপর জোর দিয়েছিলেন অভিজিৎবাবু। পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, বাজারে ঢোকা-বেরোনোর সময় যাতে সবাই হাত স্যানিটাইজ করে তার একটা ব্যবস্থা করতে। এর জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি অনুরোধ করেন, ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে কলকাতার এক একটা বাজারের দায়িত্ব নেন। যেমন পোস্তা বাজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিকির কাঁধে। জেলার ক্ষেত্রেও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কলকাতায় খাবার হোম ডেলিভারিতে পরিবহণের সমস্যা হচ্ছে॥ তাইসরকারের দেওয়া কিছু গতিধারার ট্যাক্সিকে যাতে নামানো যায় তার পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here