দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছিল কী হতে চলেছে। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বর্ষীয়ান এই নেতাকে। তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। শিশিরবাবুকে চেয়রাম্যান করেছে তৃণমূল।

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে যুব ও ছাত্র সংগঠনে বদল করা শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূল। অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠদের সরিয়ে জেলার রাজনীতিতে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতাদেরই প্রাধান্য দিচ্ছিল শাসকদল। দেখা গিয়েছিল যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি করা হয়েছে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরিকে। এবার মাদার সংগঠনেও বড় বদল সেরে ফেলল তৃণমূল।
এদিন তৃণমূলের তরফে সংবাদমাধ্যমকে একটি তালিকা দেওয়ায় হয়েছে তৃণমূলের তরফে । তাতে দেখা যাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৮টি বিধানসভার জন্য আলাদা করে কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে কোথাও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের জায়গা দেওয়া হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকেও জেলা সংগঠনে কোনও পদে রাখেনি তৃণমূল।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে জনসভা করেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নাম না করে শুভেন্দু ও অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, “রাজনীতি তো বুদ্ধিমত্তার লড়াই। আমি যেই বলেছি তোমার বাড়িতে তো একটাও পদ্ম ফোটাতে পারছ না, ওমনি একটা ভাইকে এনে জয়েন করিয়েছে। তার মানে তোমার বাড়িতে আরও অ্যাসিমটোমেটিক পেশেন্ট রয়েছে। তুমি নিজেই প্রমাণ করে দিচ্ছ!”


শিশির অধিকারী এবং তাঁর আর এক ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সাংসদ। সেদিন কার্যত দলে থাকা সাংসদদেরই ‘উপসর্গহীন বেইমান’বলে নিশানা করেন যুব তৃণমূল সভাপতি। তারপরই দেখা যায় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরান হয় শিশিরবাবুকে। আজ জেলা সভাপতি পদ থেকেও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here